
নিজস্ব প্রতিবেদক :
৫ আগস্ট ২০২৪, আশুলিয়ার বাতাস ছিল উত্তেজনায় ভরা। ছাত্র আন্দোলনের দাবিতে যখন গোটা এলাকা একটা উত্তপ্ত বিক্ষোভ কেন্দ্রে পরিণত হয়, তখন অনেকেই ভয় পেয়ে সরে দাঁড়ায়। কিন্তু নাহিদ হাসান হৃদয় সেই ভয়ের মুখে দাঁড়িয়ে সত্যের পক্ষে দাঁড়ান।
পুলিশের গুলির আওয়াজ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ছাত্রদের কান্না—এসবের মাঝেও তিনি নিজেকে ছাড় দেননি। ক্যামেরা হাতে তিনি চলে গিয়েছিলেন আশুলিয়া থানার সামনে, যেখানে নিহত ও আহতদের ছবি-ভিডিও দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরেছিলেন।
অনেক সময়, হুমকি, মামলার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তিনি থেমে যাননি। সেদিন ৫ই আগস্ট আশুলিয়ায় পুলিশের গুলির শব্দ আর লাশ পোড়ানোর ধোঁয়া—এই ভয়ঙ্কর পরিবেশের মাঝেও, তিনি তার ক্যামেরা হাতে নিয়েছিলেন সত্যের খোঁজে ছুটে চলে যেখানে অন্যরা থেমে যেত, নাহিদ হাসান হৃদয় তখন তার সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে একের পর এক ভিডিও সংগ্রহ করে দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে থাকে
তার এই সাহসিকতার ফল হলো, তার প্রতিবেদনগুলো শুধু স্থানীয় নয়, দেশের অন্যান্য প্রান্তেও আলোড়ন সৃষ্টি করে। অনেকেই তার কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তবে নাহিদ হাসান মনে করেন, সাহসিকতা কোনো পুরস্কার বা স্বীকৃতির জন্য নয়, মানুষের জন্য, দেশের জন্য, সত্যের জন্য করা উচিত।