আশুলিয়া প্রতিনিধি :
ঢাকার আশুলিয়া থানা মহিলা যুবলীগ নেত্রী শাহনাজ পারভীন শোভার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির করার অভিযোগ তুলেছেন ধামসোনা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. সাদেক ভূঁইয়া।
গতকাল ১৬ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে ভাদাইল এলাকায় মেম্বারের নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত সংবাদ কর্মীদের তিনি বলেন, ধামসোনা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে আমি দু-বার নির্বাচিত মেম্বার এবং ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। বংশগত ভাবেই আমরা আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি স্বার্থন্বেষী কূচক্রী মহল এবং জামাত বিএনপি থেকে আসা নয়া আওয়ামীলীগারা আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ সামাজিক-রাজনৈতিক ভাবে হেয় করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।তারই ধারাবাহিকতায় শোভা নামের এক মহিলা গত ১২এপ্রিল আমার ছেলে মো.মনির ভূঁইয়াসহ ৪ জনের নামে থানায় একটি ভুয়া মামলা দায়ের করে।
এসময় তিনি বলেন, কে এই শোভা? কিভাবে রাজনীতিতে আসলো? তাঁর ইতিহাস ঘাটলে শুধু দুর্গন্ধই বেরুবে।একটি মহল তাকে থানা যুবলীগের সদস্য করে এবং দলের পোড় খাওয়া নেতা কর্মীদের পিছনে এই উশৃংখল মহিলা কে লেলিয়ে দিয়ে মিথ্যা মামলা,ফেসবুকে বানোয়াট অপপ্রচারসহ অশ্লীল কথাবার্তা বলে দলে কোণঠাসা করে রাখে। আশুলিয়ায় শোভা পাপিয়ার থেকেও বড় মাফিয়া।
এর আগে ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা শেখ মো. উজ্জলের বিরুদ্ধে একই ভাবে অপপ্রচার চালিয়ে এলাকা ছাড়া করেছে সে। শেখ উজ্জল লোক লজ্জায় ভাদাইলে নিজ ঘর-বাড়ি রেখে অন্যত্র গিয়ে স্বপরিবারে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।
এব্যাপারে শাহনাজ পারভীন শোভা বলেন,আমি রাজনীতিতে আসার পর থেকেই সাদেক ভূঁইয়া আমাকে সহ্য করতে পারেনা। সাদেক ভূঁইয়ার লোক সাইফুল সিকদারের সাথে কেরাম বোর্ড নিয়ে আমার সাথে কথা কাটাকাটি হয়।এর জের ধরে গত ১১এপ্রিল মনির ভূঁইয়া,সেলিম প্রধান,সাইফুল সিকদার,মো. মানিক মিয়াসহ অপরিচিত আরো ৫/৬ জন আমাকে মারধর করে, পরে ১২এপ্রিল আমি বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করি।