নওগাঁর বদলগাছির মেরিনা একসঙ্গে পাঁচ ছেলে সন্তান জন্ম দিলেন

অন্যান্য

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি :
নওগাঁর বদলগাছির মেরিনা একসঙ্গে পাঁচ ছেলে সন্তান জন্ম দিলেন মা

নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল মজিদের স্ত্রী মেরিনা (৩৫) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সিজারিয়ান অপারেশন করে একে একে ৫টি ছেলে সন্তান বের করে আনা হয় মেরিনার পেট থেকে।মেরিনা পরপর দুটি কন্যা সন্তান জন্মদানের ১১ বছর পর একসাথে পাঁচজন ছেলে সন্তানের জন্ম দেওয়ায় মা মেরিনা খাতুন সহ পুরো পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা। রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে একসঙ্গে জন্ম দেওয়া পাঁচ সন্তান ও প্রসূতি মা সুস্থ রয়েছেন।

বর্তমানে মেরিনা খাতুন রামেক হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তার স্বামী আব্দুল মজিদ মালয়েশিয়া প্রবাসী তাহাকে মোবাইল ফোনে পাঁচ সন্তানের বাবা হওয়ার খবর জানানো হয়েছে।

মেরিনা খাতুনের মামা নয়ন বাবু জানান, তারা আগে থেকেই ৩টি বাচ্চা হবে জানতেন। এ জন্য হাসপাতালে পাঁচজন নারীকে রাখা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার তার প্রসব বেদনা ওঠে। পরে নওগাঁ থেকে প্রসূতিকে রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তারা।

এখানকার চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রামেক হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। এরপর রাতেই তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।বেলা ১১টায় অস্ত্রোপচারের পর একে একে পাঁচটি সন্তান হওয়ায় অবাক সবাই।

তিনি আরও জানান, খবর পাওয়ার পরে বাড়ি থেকে আত্মীয়স্বজন মিলে অন্তত ১৫ জন মেয়ে এসেছেন। তারা বাচ্চাদের নিয়ে ছোটাছুটি করছেন। পাঁচজন নারীর হাতে ৫টি স্যালাইনের পাইপ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি বাচ্চার শরীরে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

রামেক হাসপাতালের স্ত্রী রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের প্রধান রোকেয়া খাতুন বলেন রুগি ‘ভর্তির পর অস্ত্রোপচার করে বাচ্চাগুলোর জন্ম হয়। এদের মধ্যে একটির ওজন এক কেজি, দুইটির এক কেজি ৩০০ গ্রাম করে ও দুইটির এক কেজি ২০০ গ্রাম করে। বর্তমানে মা ও নবজাতকেরা সুস্থ আছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ কালবেলাকে জানান, নবজাতকগুলো এখন পর্যন্ত সুস্থ রয়েছে। তাদের সহ মা মেরিনাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.