নাটোরে ছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার,স্বামী আটক

অপরাধ

বিশেষ প্রতিবেদক :
ছাত্রকে বিয়ের মাত্র ৬-৭ মাসের মধ্যেই লাশ হলেন নাটোরের গুরুদাসপুরে আলোচিত সেই শিক্ষিকা খায়রুন নাহার (৪০)।
রোববার(১৪ই আগষ্ট)ভোরে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।গুরুদাসপুর খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন খাইরুন নাহার। তার স্বামী মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
এলাকাবাসী জানান,রাত ৩টার দিকে শিক্ষিকার স্বামী মামুন এলাকাবাসীকে ডেকে বলেন, তার স্ত্রী খায়রুন নাহার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে তার ঘরে মরদেহ মেঝেতে সোয়ানো অবস্থায় দেখতে পান।এ সময় স্বামী মামুন কে সন্দেহ হলে এলাকাবাসী মামুনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন।
নাটোর সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে।পুলিশ লাশটি ময়ন তদন্তের জন্য পাঠাবে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
এর আগে, গত ৩১ জুলাই কলেজ ছাত্র ও ঐ শিক্ষিকার বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের ৬ মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেয়নি। এর আগে ঐ শিক্ষিকা বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজেলার এক ছেলেকে। পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশি দিন টেকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে এক সন্তান রয়েছে বলেও জানা গেছে।

বিয়ের খবর জানাজানি হওয়ার পরে খাইরুন নাহার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিলেন প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ঐ সময় ফেসবুকে পরিচয় হয় মামুনের সঙ্গে। মামুন আমার খারাপ সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছে এবং নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছে। পরে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.