নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ফরেস্ট চেক স্টশনে কাগজপত্র চেকের নামে চলছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি

অপরাধ

এখানে সকলকে ম্যানেজ করে আমিরুল ভাই যা বলার আমিরুল ভাইয়ের সাথে বলুন বলে জানালেন কর্তব্যরত ফরেস্ট গার্ডরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এর আষাঢ়িয়া বন বিভাগের (ফরেস্ট চেক স্টেশনে) কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বনজ সম্পদ কাঠ,বাঁশ,কাশ ফুলের ঝাড়ু সহ বনজ বহনকারী গাড়ীর কাগজপত্র চেকের নামে দিনে ২৪ ঘন্টা সপ্তাহে ৭দিনে মাসে ৩০ দিন বছরে আল্লাহর ৩৬৫ দিন টিপি চেকের নামে বনজ বোঝাই সকল প্রকার যানবাহন থেকে প্রকাশ্যে (চাঁদা) টাকা আদায় করে। টাকা না দিলে এসব গাড়ী গুলো আটক করে হয়রানি করে এমন অভিযোগ অহরহ।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, এই সোনারগাঁও ফরেস্ট চেক স্টেশনে টিপি চেকের নামে সর্ব নিন্ম গাড়ি প্রতি ২ হাজার ৫ শ টাকা করে চাঁদা আদায় করা যা স্হানীয়রা সহ কাঠ ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা জানান। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে উলুফুল ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছেন একটি ট্রাক এ সময় সোনারগাঁও চেক স্টেশনের পাশে তেল পাম্পে দাঁড়ানো অবস্হায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালানদার জানান, এই ফরেস্ট চেক স্টেশনে আসলে চেক করার নামে ২ হাজার ৫০০ টাকা নজরানা তাদের দিয়ে চেকপোস্ট পার হতে হচ্ছে বলে জানান।
ট্রাক চালক রফিক মিয়া জানান, প্রতি মাসে দু’ ৪ বার সোনারগাঁও ফরেস্ট চেক স্টেশনের সামনে দিয়ে যাওয়ার আসা করি,সব সময়ই এ বন বিভাগের লোকদের প্রতি গাড়ি থেকে ২৫০০ টাকা করে দিতে হয়। না দিলে তারা হয়রানি করে।

খাগড়াছড়ি থেকে আসা সেগুনের কাঠ ভর্তি ট্রাকের চালক নিরু মারমা জানান, সোনারগাঁও ফরেস্ট স্টেশনের চেকপোস্টে সর্ব নিন্ম গাড়ি প্রতি ২৫০০ টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে তাদের মিথ্যা মামলার ভয় দেখানো হয় বলে তিনি জানান।
খাগড়াছড়ি থেকে আসা বাঁশ ভর্তি ট্রাকের চালক ইসমাঈল জানান, এ ফরেস্ট স্টেশনের চেকপোস্টে কোন প্রকার রশিদ ছাড়াই টাকা দিয়ে কাগজে সীল সহি দিয়ে নিতে হয়,না হয় হয়রানি করে তারা, মিথ্যা মামলার ভয় দেখায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোনারগাঁও ফরেস্ট চেক স্টেশনের আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দা জানান, যানবাহন চেকিংয়ের নামে কাঠের তৈরি আসবাবপত্র, কাঠ গাছ ও লাকরি ভর্তি সকল প্রকার যানবাহন থেকে অবৈধভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা তুলা হচ্ছে এখানে।চেকপোস্টে কম টাকা দেয়ার চেষ্টা করলে দায়িত্বরত বন কর্মকর্তাদের এমন বলতেও শোনা যায়,আমাদের কম টাকা দিলে উপরের কর্মকর্তাদের বুঝ দেবো কিভাবে? জানা যায়, কাগজপত্র চেকের নামে একটি গাড়িও টাকা না দিয়ে যেতে পারে না।টাকা না দিলে কাগজে সীল সই না করে হয়রানির ঘটনা অহরহ।

এ বিষয়ে সোনারগাঁও ফরেস্ট চেক স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তার খোঁজ নিলে। তিনি স্টেশনে নেই বলে কর্তব্যরত ফরেস্ট গার্ডরা জানান, তার দুই তিন মিনিটে মাথায় স্টেশনে কর্তব্যরত ফরেস্ট গার্ডের মোবাইলে কল করে আমিরুল নামের একজন বলতে থাকে আমিও এক সময় সাংবাদিকতা করতাম।আমিরুল মোবাইল ফোনে জানান,আপনি এখানে কি জন্য আসছেন আমি আপনার সম্পাদকের সাথে পরে কথা বলবো বলে তিনি কর্তব্যরত ফরেস্ট গার্ডদের বলে দেন কিছু টাকা দিয়ে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করতে। তখন কর্তব্যরত ফরেস্ট গার্ডরা প্রতিবেদককে ১ হাজার টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার জন্য জোরাজোরি করলে প্রতিবেদক ফরেস্ট গার্ডদের যখন স্টেশন কর্মকর্তার কোথায় জানতে চাওয়া হলে ফরেস্ট গার্ডরা জানান,স্যার কারো সাথে দেখা করে না। এখানে সবাইকে ম্যানেজ করে আমিরুল ভাই। আমিরুল টা কে জানতে চাইলে ফরেস্ট গার্ডরা বলে তিনি একজন ফরেস্টার। তিনি আমাদের ডিপার্টমেন্টের একজন চাকুরি জীবি তিনি অন্য একটা বিটে আছেন। আরো খবর নিয়ে জানা যায় এই আমিরুল সারা বাংলাদেশের ফরেস্টার এসোসিয়েশনের আহবায়ক পদে রয়েছেন। সরেজমিনে জানা যায়, সোনারগাঁও ফরেস্ট চেক স্টেশনে কাগজপত্র চেকের নামে বনজ বোঝাই গাড়ি থেকে যত টাকা পয়সা নেওয়া হয় তাতে আমিরুলও জড়িত,এই আমিরুল এই চেক স্টেশনে কোন সাংবাদিক কিংবা প্রশাসনিক কোন লোক আসলে তিনিই সরাসরি কিংবা মোবাইল ফোনে ম্যানেজ করে থাকেন বলে জানা যায়। সরেজমিনে শত চেষ্টা করেও স্টেশনটিতে কর্তব্যরত স্টেশন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি, স্টেশন কর্মকর্তা প্রকাশ্যে আসতে রাজি হননি এবং তার মোবাইল নাম্বারটি পর্যন্ত কর্তব্যরত গার্ডরা দিতে রাজি হয়নি।তাদের মুখে একটাই বাক্য আমাদের কাউকে স্যারের মোবাইল নাম্বার দিতে নিষেদ আছে যা বলার আমিরুল ভাইয়ের সাথে বলুন বলে তারা জানালে প্রতিবেদক তখন চেক স্টেশনটি ত্যাগ করেন।
অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে যতদিন টিপি চেকের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ না হবে ততদিন ধারাবাহিক ভাবে নিউজ চলমান থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.