মামুন মোল্যা-নরাইল থেকে :
ভুক্তভোগী মফিজা বেগম বলেন আমি নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার এবং নড়াগাতী মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গত ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যার সময় পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ভিতরে টিসিবির পণ্য বিতরণ কালে তিন নং ওয়ার্ডের হতদরিদ্রের জন্য রক্ষিত টিসিবির মালামাল মোঃ রহিম শিকদার জোর পূর্বক নিয়ে যেতে চাইলে আমি ও আমার স্বামী সেলিম শিকদার বাধা প্রদান করলে রহিম শিকদার ও তার সহযোগিরা মিলে আমার স্বামী সেলিম শিকদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে, তাদেরকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে রহিম শিকদার ও তার সহযোগীরা আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ী কিল ঘুষি মারতে থাকে, আমি ঠেকানোর উদ্দেশ্যে এগিয়ে গেলে বিবাদী সেলিম শিকদার আমাকে মাটিতে ফেলে কিল ঘুষি মারতে থাকে এবং সেলিম শিকদার আমার গলায় থাকা আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়ে নেয়, যার বাজার মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা। এসময় আমাদের চিৎকার শুনে চৌকিদারসহ স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে আক্রমণ কারিরা ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ বিষয়ে পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই ঘটনা সত্য তিনি আরো বলেন শুধু এই ঘটনাই না অভিযুক্ত ঐ দুই ব্যক্তির কারণে আমরা পরিষদের সদস্যরা বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে পারছি না তাছাড় আজ আমরা চার গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পরিষদের মেম্বারদের নিয়ে মহিলা মেম্বারকে হেনস্থা করার বিষয়ে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব এ বিষয়ের পরিষদের অন্য মেম্বাররা বলেন আমরা পরিষদের দেয়া দায়িত্ব পালন করতে গেলে রহিম শিকদার এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভাবে বাধার শিকার হই আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, আমরা এর সঠিক বিচার চাই। এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা রহিম শিকদারের বিচারের দাবী জানান এবং এই বিষয়ে ভুক্তভোগী নড়াগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়েল করেন।
বিবাদীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে নড়াগাতী থানার ওসি সুকান্ত সাহা,র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন একটি অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে অইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।