বিশেষ প্রতিবেদক :
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মোজাম্মেল হকের মেয়ে সানজিদা আক্তার পপির নবজাতক শিশুকে হাসপাতালে রেখে, পরিবারের সদস্যদের সাথে পালিয়ে আসার অভিযোগ। জানা যায়, একই উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের সাতানী গ্রামের আব্দুর রব হাওলাদারের ছেলে আল আমিন হাওলাদারের সাথে সানজিদা আক্তার পপির সাথে ১১ মাস আগে বিয়ে হয় ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এই নারী তার স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় পারিবারিক কলহের যের ধরে তার বাচ্চাটিকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ইনজেকশন দেয়, পরবর্তীতে অনুপায় হয়ে পড়লে দুমকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, রোগীর অবস্থা খারাপ হাওয়ায় ১৫ এপ্রিল পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পরের দিন মঙ্গলবার একটি কন্যা সন্তান হওয়ার পর নবজাতক শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার জন্য আইসিইউতে ভর্তি করে, শিশুটির মা ও নানা, নানী সহ হাসপাতাল থেকে লাপাত্তা হয়ে যায়। শিশুটির ফুপু জানান, আমি এই খবর শুনে হাসপাতালে আসলে কাউকে খুজে না পেয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় যাই। তিনি আরো বলেন আমার ভাইকে ফাঁসাতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। নবজাতকের বাবা আল আমিন হাওলাদার বলেন, আমি চাকরির কারণে দূরে থাকি, আমার শশুর বাড়ির সাথে বনিবনা না থাকায় আমাকে ফাঁসাতে আমার শ্বশুর, শাশুড়ি ও বউ এমনটি করছে। আমার বাচ্চাকে মেরে ফেলে আমাকে মামলার ফাসাতে চেয়েছিলো। এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাসিম বলেন, এ বিষয়ে এখনো আমরা কোন তথ্য পাইনি।