পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নে ভাইয়া বাহিনীর আতংকে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে যানা যায় দীর্ঘদিন যাবৎ কথিত ভাইয়া বাহিনীর সদস্যরা মরিচবুনিয়া ইউনিয়নে তাদের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে।গায়ের জোড়, জবোর দখল,ভাংচুর অযথা নিরহ মানুষকে হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলা এবং নিরব চাঁদাবাজি করে আসছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।গত বুধবার ভাইয়া বাহিনীর প্রধান বিএনপি সমর্থক মনিরুজ্জামন টিটুর ছোট ভাইয়ের নেতৃত্ব ভাইয়া বাহিনীর সদস্যরা বাজারঘোনা গ্রামের আবদুল মন্নান জোমাদ্দারের (৫৫) নিজ বসত বাড়ি জমিতে মৌজা বাজারঘোনা, জেল নং ৭০, থতিয়ান নং ৪১ এর ১৬৩৩ দাগে জোর পূর্বক দখল নিতে চায় এবং খরের কূড়া দেওয়া শুরু করলে মান্নান জোমাদ্দার বাধা দিলে তাকে মারদর করে এবং তার স্ত্রী আলেয়া বেগম (৪০) এর সাথে অশালীন আচরন করে এবং ফলজ বড়ই গাছের ক্ষতি সাধন করে।উক্ত ঘটনায় আবদুল মান্নান পটুয়াখালী সদর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে তিনি ভাইয়া বাহিনীর প্রধানের ছোট ভাই আলামিন মৃধাসহ ১৭ জনকে বিবাদী করেন।উক্ত বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অত্র এলাকার একাধিক সাধারণ মানুষ জানান আবদুল হক মৃধার পুত্র মনিরুজ্জামন টিটু ও তার ছোট ভাই আলামিন মৃধার অত্র ইউনিয়নে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ বাহিনী প্রতিনিয়ত এলাকায় রাম রাজত্ব কায়েম করে আসছে,যাদের ভিতর মাদক ব্যাবসায়ী মামুন হাওলাদার অন্যতম।খোজ নিয়ে জানা যায় মামুন হাওলাদার পটুয়াখালী সদর থানা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পটুয়াখালীতে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যাবসায়ী। উল্লেক্ষ্য থাকে যে এ ঘটনার ২০ দিন পূর্বে রাতের আধারে অত্র এলাকার আলকাস মাতব্বর এর একটি দোকান ঘর নদীতে ফেলে দেয় এবং হাউদের বাজর নামক স্থানে হিন্দুদের জমি জোর করে দখল নেয় এই ভাইয়া বাহিনী। এ ব্যপারে কথিত ভাইয়া বাহিনীর প্রধান পটুয়াখালী পিটিআই রোডস্থ ফরচুন হাসপাতালের মালিকের সাথে মুঠোফোনে (০১৭১২-১১৩৪৯৭) যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদককে জানান,তার বা তার এ কথিত ভাইয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট।সার্বিক বিষয়ে মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেনের বক্তব্য জানতে চাইলে শারীরিক অসুস্থতার কারনে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।