পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
ছোটখাটো মাস্তানি ও উগ্র মেজাজের কারণে প্রতিবেশী ও বন্ধুদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মোঃ রায়হান পটুয়াখালীতে অনেকের কাছেই ফটকা রায়হান হিসেবে পরিচিত। পিতা এলজিইডির রোলার ড্রাইভার হওয়ায় পারিবারিক পিছুটান না থাকায় আজেবাঁজে জীবনযাপনে অভ্যস্ত রায়হান অপরাধ ঢাকতে বেছে নেয় স্থানীয় এক সাংবাদিকের লেজুর বৃত্তি। খবর পটুয়াখালী নামে ফেসবুক পেইজে লাইভ ভিডিও প্রচার করে নিজেকে পরিচয় দেয় প্রতিবেদক হিসেবে। প্রায় সময়ই অনাকাঙ্ক্ষিত ফেসবুক লাইভ ভিডিও প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ওই মিডিয়ার দোহাই দিয়ে পার পেয়ে যায়,আর এসব কিছুর বিষয়ে দেখ ভালো কর্মকর্তারা হাওয়ায় বেশ বেড়াচ্ছে যেনো তারা কিছু বোঝেইনা। যেকোনো কর্মকান্ডে ফটকা রায়হানের সঙ্গী হিসেবে থাকে বড় চৌরাস্তা নন্দকানাই এলাকার গোপাল হালদার। সাম্প্রতিক কালে ফটকা রায়হান ও গোপাল পটুয়াখালীর এক গুণী-প্রবীণ সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার পর ওদের মদতদাতা বৈশাখী টিভি রিপোর্টার আরিফ ও তার ক্লাব সর্ব মহলে বিতর্কিত হয় তাতে জেলা ব্যপী ব্যাপক আলোচনা সমালচনা হলেও প্রশাসন রহস্যজনক নিরব। এরই জেরে ওই গুনি সাংবাদিক গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি ফটকা রায়হান ও গোপাল সহ অনেকের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করে। যাহার জিডি নং- ৬৮০। ফেসবুক কন্টেন্ট করে মূল ধারার মিডিয়া কর্মীদের সাথে প্রতিনিয়ত কারণে অকারণে বাকবিতর্ক করে আসছে এমনকি সরকারি বা আধা সরকারি যেকোন অনুষ্ঠান বা রাষ্ট্রীয় কাজের সভা সেমিনারে ক্যামেরা নিয়ে পেশাগত মিডিয়া কর্মীদের কাজের ধরণ না বুঝে বিভিন্ন ভাবে তথ্য চিত্র নিতে বা সংগ্রহ করতে সমস্যা সৃষ্টি করে চলছে প্রতিনিয়িত যা জেলার সকল সরকারি প্রশাসন ও কর্তাব্যাক্তিরা কিছুই দেখছেন না। খোদ জেলা তথ্য অফিসারও বিষয়টি দেখেও না দেখার বান করে আসছেন ।
গত ২৩শে এপ্রিল আবারো (মঙ্গলবার) রাত ৯:৩০ এ অকারনে দৈনিক বর্তমান পত্রিকার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ও পটুয়াখালী জেলা প্রেস ক্লাবের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক মনজুর মোর্শেদ তুহিন এর বাসভবনের সামনে গিয়ে ফেসবুক কন্টেন্টটার ফটকা রায়হান ও গোপাল সহ সন্ত্রাসীরা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। কারণ হিসেবে দেখা যায় বিগত দিনে জেলার প্রবীণ সাংবাদিককে হামলায় পর প্রতিবাদ করেছিলেন সাংবাদিক মনজুর মোর্শেদ তুহিন। সাংবাদিক তুহিন সার্বিক বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।দেখার বিষয় হচ্ছে প্রশাসন এবার কি করেন।
অভিযোগকারী সাংবাদিক মনজুর মোর্শেদ তুহিন জানায়, সৈয়দ এনায়েতুর রহমানকে সভাপতি করে “পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাব” নামে সংগঠন তৈরি করার পর থেকেই আব্দুস সালাম আরিফ ও তার সহচররা প্রায় সময়ই হিংসাত্মক কর্মকান্ড ঘটিয়ে বসে। আরিফের মদদে একটা কিশোর গ্যং চলে যাহারা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অপরাধ করে বেড়ায়। অকারণে ওরা আমাকে হুমকি দিয়ে বসেছে আমি খুবই শংকিত তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছি।