পেখম মেলে ময়ূর নাচে হোমনার বাবরকান্দির শাহ আলীর খামারে

অন্যান্য

হালিম সৈকত, কুমিল্লা থেকে :
কখনো কখনো শখ হয়ে যায় পেশা। তেমনি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার নিলখি ইউনিয়নের বাবরকান্দি গ্রামের শাহ আলী। ২০১৯ সালে শখ করে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে এক জোড়া ময়ূর কিনে পোষা শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে আরও ৫ জোড়া কিনে বানিজিকভাবে শুরু করেন। এখন তার খামারে মোট ৯০-১০০ টির মতো ময়ূর রয়েছে। স্বাবলম্বী হয়েছে তার পরিবার। অষ্টম শ্রেণি পাশ শাহ আলীর এই বিষয়ে নেই কোন প্রশিক্ষণ। তবে ঢাকায় থাকাকালীন তার বাবার গরুর খামার দেখাশোনা করতো ও কয়েকটি পাখি পোষত সে। এতটুকুই শিক্ষা। তবে ইউটিউব দেখে দেখে সে অনেক কিছু শিখেছে। বর্তমানে সে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ময়ূর বিক্রি করেছে। এতে তার লাভ হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। জুন জুলাইয়ে ময়ূর বিক্রি শুরু হয়। প্রতিটি ময়ূর ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। শৌখিন ও পয়সাওয়ালারাই তার ক্রেতা। ময়ূরের পাশাপাশি তার রয়েছে তিতির পাখি, গরু, ভেড়া ও মুরগির খামার। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিনই অগণিত দর্শক ভীড় করে এই ময়ূরের খামার দেখতে। ইতোমধ্যে তার খামারের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদ মাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিবিসিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির সাংবাদিকরা অনেক প্রতিবেদন তৈরি করেছে এই খামারটি নিয়ে। এই বিষয়ে শাহ আলী বলেন, প্রতিদিনই সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণির মানুষ আসছেন ময়ূর দেখতে। আমি খুব বেশি পড়াশোনা করতে পারিনি। যারা পড়াশোনা করেছেন চাকুরির আশায় বসে না থেকে ময়ূরের খামার করতে পারেন। ময়ূর লালন-পালন খুব সহজ। এরা দানাদার খাবার ও ঘাস খায়। ময়ূর চাষে লাভ বেশি। আমি ও আমার পরিবার সাবলম্বী হয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.