স্ত্রী’র লিখিত আবেদনে উল্লেখ্য তিনি ব্যবসায় লসের কারনে আত্মহত্যা করায় অভিযোগ নেই,গুলশান- ২ থানার ওসি বলছেন থানায় মামলা হয়েছে
এম শাহীন আলম :
রিয়েল এস্টেট ব্যবসা জগতের অন্যতম আইকন দেশের সুনাম ধন্য প্রতিষ্ঠান ফেয়ার বিল্ডার্স লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রিহ্যাব সদস্য এস এম জাহিদুর রহমান নিজ বাসায় গলায় ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় চুপচাপ নীরবে ময়না তদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে তার পৈতিক পারিবারিক নিজ এলাকায় না নিয়ে কাকরাইল আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে বে-ওয়ারিশের মতো গোসল দিয়ে পুলিশ পাহারায় রহস্যজনক ভাবে বনানী কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে বলে জানা যায় ,
ঘনিষ্ঠ সূএে জানা যায়, এস এম জাহিদুর রহমান একজন সুনাম ধন্য প্রতিষ্ঠান এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং রিয়েল এস্টেট জগতে একজন সফল ব্যবসায়ী তিনি ব্যবসায় লস্ বা লোকসানের কারণে গলায় ফাঁসি দিয়ে মারা যাবে এটা অবিশ্বাস্য এবং ১০০% রহস্যজনক বিষয় এটা মেনে নেওয়ার মতো ঘটনা নয়,যিনি শত শত কোটি টাকা অর্থ বিওের মালিক তিনি ব্যবসায় লসের কারণে আত্মহত্যা করবে এটা কিভাবে সম্ভব, ফাঁসি দিয়ে মারা যাওয়ার পর তার মরদেহ বেওয়ারিশের মতো গোসল দিয়ে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন অবশ্যই রহস্যজনক,
প্রশ্ন হলো একজন শিল্পপতি ও সুনাম ধন্য প্রতিষ্ঠানের মালিকের যেহেতু স্বাভাবিক মৃত্যু নয় যেভাবেই মৃত্যু হয়েছে কিংবা ফাঁসি দিয়ে মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্ত ছাড়া পুলিশ কিভাবে দাফন করার অনুমতি দিল,একজন ফাঁস দেওয়া ব্যক্তির ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফন করা কতটুকু আইন সম্মত ,
এস এম জাহিদুর রহমানের স্ত্রী ফারজানা রহমান নুপুর এর থানায় ময়না তদন্ত মওকুফ আবেদনের তথ্য সূএে জানা যায়, এস এম জাহিদুর রহমান ব্যবসায় লস দিয়ে গত ৫-৬ যাবৎ মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং সর্বশেষ গত ২৩/০৪/২০২৩ ইং তারিখ সকালের দিকে তার বাসার কাজের মেয়ে তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখতে পায়,তিনি তার নিজ বাসায় গুলশানে ফাঁস দিয়ে মৃত্যু বরণ করেন বলে জানা যায় এবং তার স্ত্রী ফারজানা রহমানের লিখিত বক্তব্য হলো এস এম জাহিদুর রহমান যেহেতু গলায় ফাঁসি দিয়ে মৃত্যু বরণ করেছে সেই জন্য তার মৃত্যুর বিষয়ে তার কোন অভিযোগ নেই তিনি মামলা করেননি ,
প্রশ্ন হলো এস এম জাহিদুর রহমান তো আর মহল্লার চা ওয়ালা কিংবা মুদি দোকানদার কিংবা ভ্যান ড্রাইভার নয় যে তিনি মারা গেলে যেনতেন ভাবে তড়িঘড়ি করে তাকে জরুরী কাউকে না জানিয়ে দাফন সম্পূর্ণ করতে হবে, তার এখনো বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক বীমায় কোটি কোটি টাকার লেনদেন রয়েছে বহু হীতাকাঙ্খী নিকটতম বন্ধু বান্ধব আত্নীয় স্বজন ও তার নিজ এলাকার অনেকেই জানেননি তার মৃত্যুর কথা, এছাড়া দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিলাসবহুল শপিংমল এর কাজ চলমান, তার মধ্যে নোয়াখালী চৌমুহনীতে শপিংমল কাম রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্স “ফেয়ার চৌমুহনী নিউ মার্কেট” এবং রাজধানীর বসুন্ধরায় ফেয়ার সুলতান’স ড্রীম নামের আরো একটি রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্স এর কাজ চলমান রয়েছে। যেখানে শত শত কোটি টাকার সম্পদের কাজ চলমান সেখানে এস এম জাহিদুর রহমান ব্যবসা লসের কারনে আত্মহত্যা করবে এই বিষয়টি অবশ্যই সন্দেহ জনক ও রহস্যজনক এটাই স্বাভাবিক,
একটি ঘনিষ্ঠ বিশ্বস্হ সূএে জানা যায়,গত বেশ কয়েক মাস ধরে এস এম জাহিদুর রহমান এবং তার স্ত্রী’র মধ্যে বাকবিন্ডতা এবং সম্পর্কের টানপোড়ন চলছিল,তার নিজ অফিসে স্বামী এবং স্ত্রী’র মধ্যে কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের দুইটি অংশে গ্রুপে বিভক্ত ছিল বলে জানা যায়, এস এম জাহিদুর রহমান যখন লেনদেন এর ক্ষেত্রে কাউকে চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা দিতেন তখন ব্যাংক থেকে তার প্রতিষ্ঠানের একাউন্ট অফিসারের অনুমতি ছাড়া ব্যাংক থেকে টাকা না দেওয়ার একটি প্রথা চালু করেছিলেন তার স্ত্রী ফারজানা রহমান নুপুর,
বিশ্বস্হ সূত্রে জানা যায়, এস এম জাহিদুর রহমানের মৃত্যুর কিছু দিন আগে রাজধানীর আফতাব নগরে দুইটি প্লট এস এম জাহিদুর রহমানের কাছ থেকে তার স্ত্রী ফারজানা রহমান নুপুর তার নিজ নামে লিখে নেন,
বিশিষ্ট শিল্পপতি এস এম জাহিদুর রহমানের মৃত্যুর বিষয়ে তার স্ত্রী’র বোনের ছেলে রাতুলের নিকট মোবাইল ফোনে কথা বললে রাতুল জানান,আমি তাদের আত্নীয় তা ঠিক আছে তবে আমি তাদের সকল বিষয়ে জানি না, তবে পোস্ট মোর্টেম বিষয়টা ডাক্তার এবং পুলিশের সম্মনয়ে হয়েছে, আমি এই বিষয়ে কি বলবো ডাক্তার এবং পুলিশ কিভাবে কি করে তাতো আপনারও জানার কথা, তিনি জানান, তিনি বুঝাতে চেয়েছেন এই ময়না তদন্তের পুরো ঘটনাটি আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ডাক্তার এবং থানার ওসিকে ম্যানেজ করেই ময়না তদন্ত ছাড়াই এস এম জাহিদুর রহমানের লাশ দাফন করা হয়েছে,
এস এম জাহিদুর রহমানের ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়ে তার স্ত্রী ফারজানা রহমান নূপুরকে দুই দিন যাবৎ একাধিক বার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি,তৃতীয় দিন ফোন দেওয়ার পর ফারজানা রহমানের ভাই ফোনটি রিসিভ করে তার সাথে এই মৃত্যুর ঘটনায় বিভিন্ন বিষয়ে তের মিনিট কথা হলেও তিনি তার বোনকে ফোনে কথা বলাতে রাজী হননি,এবং মৃত্যুর বিষয়ে কথা বলতে নারাজ ছিলেন,
এই বিষয়ে গুলশান-২ থানার ওসিকে ঘটনার পরদিন ফোন দিলে তিনি জানান,তিনি এস এম জাহিদুর রহমানের পরিবার,সন্তান,অফিসের লোকজন সবার সাথে কথা বলেছেন মৃত্যুর বিষয়ে কেউ কোন তথ্য কিংবা অভিযোগ দেননি বলে তিনি জানান,তাকে ময়না তদন্ত ছাড়া কিভাবে লাশ দাফন করা হলো এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে সঠিক কোন উওর না দিয়ে অন্য প্রসঙ্গ তিনি বার বার প্রতিবেদককে তার সাথে দেখা করার অনুরোধ জানান, এই বিষয়ে মামলা হয়েছে কিনা এবং মামলার বাদী কে হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,মামলা হয়েছে মামলার বাদী হয়েছেন এস এম জাহিদুর রহমানের স্ত্রী ফারজানা রহমান নূপুর,তবে গুলশান-২ এর ওসি মামলা হয়েছে এমন কথা শিকার করলেও এস এম জাহিদুর রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার হয়েছে এমন কোন তথ্য দেননি তারা,
এই বিষয়ে গুলশান সার্কেল এর ডেপুটি কমিশনার কে একাধিক কল করলেও তিনি মোবাইল ফোন এর কল রিসিভ করেননি,
অনুসন্ধান চলছে সত্য ঘটনা উদঘাটনে পরবর্তীতে ধারাবাহিক ভাবে প্রচার করা হবে,