বগুড়ার পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণকারী হাফেজ রুহুল কুদ্দুস গ্রেফতার

অপরাধ

মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়ার নন্দীগ্রামে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণকারী হাফেজ রুহুল কুদ্দুস গ্রেফতার হয়েছে। ১১ জুলাই দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টায় নওগাঁ জেলার হাপুনিয়া দিঘীরপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবিরের নির্দেশনায় এসআই ফারুক হোসেন পিপিএম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। হাফেজ রুহুল কুদ্দুস সেখানে তার এক আত্মীয় বাড়িতে পালিয়ে ছিল। গ্রেফতারের পর সে তার কুকর্মের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। ১২ জুলাই দুপুরে থানা পুলিশ তাকে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে। সূত্রে জানা গেছে, দারিয়াপুর গ্রামের আব্দুল হালিম সুজনের ১১ বছর বয়সি মেয়ে দারিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে লেখাপড়া করতো। বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে প্রতিদিন সকালে এলাকার অন্য শিশুদের সঙ্গে সেও গ্রামের হাফেজ রুহুল কুদ্দুস (৫৫) এর বাড়িতে আরবি পড়তে যায়। এমতাবস্থায় একদিন হাফেজের বাড়িতে পরিবারের লোকজন কেউ ছিল না। পড়া শেষে সবাইকে ছুটি দিলেও ওই ছাত্রীকে পড়া ধরবেন বলে হাফেজ রুহুল কুদ্দুস তাকে বসতে বলে। অন্য ছাত্রীরা চলে যাওয়ার পর লম্পট হাফেজ তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটি চিৎকার করতে থাকলে তার মুখে কাপড় চাপা দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে লম্পট হাফেজ রুহুল কুদ্দুস। এক পর্যায়ে ধর্ষণের কথা কারো কাছে বললে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে ওই হাফেজ হুমকি দেয়। এই ভয়ে ওই ছাত্রী পরিবারের কাউকে কিছুই জানায়নি। সম্প্রতি ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বাবা-মা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। গত ৪ জুলাই নন্দীগ্রাম হেলথ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনিষ্টিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। তার রিপোর্টে ওই ছাত্রীর তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে উল্লেখ করা হয়। এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়। দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে পুরো এলাকা। একপর্যায়ে গত ৮ জুলাই গ্রামের মাতব্বর এনামুল হক, এসরাক আলীর নেতৃত্বে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধাপাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। তবে তার বাবা আব্দুল হালিম সুজন রাজি হয়নি। পরে গত ১০ জুলাই এ ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি থানার এসআই ফারুক হোসেন পিপিএম তদন্ত করছে। তিনি বলেছে, যথারীতিভাবে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। মামলার ভিকটিম ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ধর্ষণ ঘটনার জবানবন্দী দিয়েছে। আসামী রুহুল কুদ্দুস তার অপরাধের কথাও স্বীকার করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.