বিশেষ প্রতিনিধি :
বগুড়া কাহালু উপজেলার কালাই ইউপি নির্বাচনে আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী শামিম খন্দকার গতবারের মতো এবারও আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাইবেন।
গত নির্বাচনে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী ও দলীয় কোন্দলে তার পরাজয়ের মুল কারণ উল্লেখ করে গতকাল শনিবার এক সাক্ষাতকার দেন তিনি। তার তথ্যমতে গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে নৌকা প্রতিক নিয়ে আমি নির্বাচন করেছি। গত নির্বাচনে আমি ছাড়াও আওয়ামীলীগের আরো দুজন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলো। যারফলে গত নির্বাচনের শিক্ষা নিয়ে এখানে আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার লক্ষ নিয়ে আমি কাজ করছি। জানা গেছে ১৯৮১ সালে কালাই ঘোনপাড়া এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা মরহুম মহিউল ইসলাম খন্দকার একজন খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। পরিবারের লোকজনের উৎসাহে ১৯৯৭ সালে শামিম ছাত্রলীগে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে তাকে উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সহ-সভাপতি করা হয়। ২০০৮ সালে তাকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক পদ দেওয়া হয়। ২০১১ সালে তিনি গোপন ব্যালটে ভোটের মাধ্যমে কালাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
সেই থেকে তিনি এখন পর্যন্ত কালাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে দলীয় কর্মসূচী গুলো পালনে বরাবরই তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড যাতে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয় তার জন্য তিনি সম-সময় নিজ এলাকায় নজর রাখেন। জনপ্রতিনিধি না হয়েও তিনি সুখে-দুঃখে দলীয় নেতাকর্মী ও নিজ এলাকার জনগনের পাশে রয়েছেন। তাদের বিপদে-আপদে ছুটে যান সব-সময়। নিজ অর্থে তিনি গরীব-দুঃখী মানুষকে আন্তরিকভাবে সহযোগীতা করেন। আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় তিনি অনেক আগে থেকেই গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশ করছেন। শামিম খন্দকার জানান আমার বিশ্বাস গতবারের মতো এবারও আমি দলীয় মনোনয়ন পাবো।