মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়া রংপুর মহাসড়কের মহাস্থানের অদূরে দিঘলকান্দী মোড়ে ছাগল বিক্রির কথা বলে মোবাইলে ২ ভাইকে ডেকে ছোট ভাইকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা এবং অপর বড় ভাইয়ের দুই হাতের কব্জি কর্তন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল অনুমান সাড়ে ৮টায় সদর উপজেলার লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের দিঘলকান্দী মোড়ে একটি লিচু বাগানের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবক পেশায় ছাগল ব্যবসায়ী সে বগুড়ার গোকুল ইউনিয়নের পলাশবাড়ী পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান কসাই এর ২য় পুত্র আপেল মাহমুদ (৩২)। তার বড় ভাই আল মামুন (৩৮) তার দুই হাতের কব্জিও কর্তন করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছেন। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অদ্যই সকালে আপেল মাহমুদ ও তার বড় ভাই আল মামুনকে ছাগল বিক্রির কথা বলে কে বা কারা মোবাইল ফোন করে ডেকে নেয় শিবগঞ্জের চন্ডিহারা এলাকায় । এরপর তারা উল্লেখিত স্থানে পৌঁছিলে ৭/৮ জনের একটি দূর্বৃত্তের দল তাদেরকে জোর করে রাস্তা থেকে লিচু বাগানে ডেকে নিয়ে তারা আপেলকে বুকে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে লাশ লিচু বাগানের নিচে ফেলে একই ভাবে আল মামুনের উপর হামলা চালিয়ে তার দুই হাতের কব্জি ইটের ওপর রেখে কর্তন করে। এসময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে দূর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। এরপর এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে সদর থানা পুলিশ ও শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরুতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তী, সদর থানার ইন্সেপক্টর (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা জানাতে পারেনি পুলিশ। সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজার সাথে কথা বললে তিনি জানান, হত্যার কারণ জানা যায়নি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে একাধিক সূত্রে জানা যায়, গোকুল ইউনিয়নের পলাশবাড়ী গ্রামের বিএনপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা সনি হত্যার আসামী ছিল নিহতের বড় ভাই আল মামুন। ইতিপূর্বে ওই এলাকায় দুই গ্রুপের দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ লেগেই থাকত। এদিকে সন্ধ্যা ৬ টায় নিহত আপেলের লাশের কফিন নিয়ে হত্যার সঠিক বিচারের দাবীতে ও ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবী জানিয়ে রংপুর বগুড়া মহাসড়কের গোকুল ছমিল বন্দরে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। সংবাদ পেয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)এসএম বদিউজ্জামান ও শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে নিহত আপলের পরিবার ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন এবং তাদেরকে বলেন, আপনারা থানায় মামলা করেন ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্য গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।