মুহাম্মদ মতিন খন্দকার টিটু :
শুভ জন্মদিন বগুড়া জেলা। ১৩ই এপ্রিল মঙ্গলবার বগুড়া জেলার দুইশত তম জন্ম দিবস। ১৮২১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই এপ্রিল জেলা হিসেবে যাত্রা শুরু করে বগুড়া। বর্তমান বগুড়া শহরের উত্তর উপকণ্ঠে অবস্থিত ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় পুরাকালে পুণ্ড্রনগর বা পৌণ্ড্রনগর বা পেণ্ড্রুনগর নামে খ্যাত ছিল। সে যুগে এটি ছিল পূর্বভারতীয় সমৃদ্ধতর রাজ্য পুণ্ড্রবর্ধন তথা বঙ্গদেশের রাজধানী। ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কার্যকর হওয়ার পর বঙ্গদেশের সর্ব বৃহৎ জেলা রাজশাহী থেকে আদমদিঘী শেরপুর নওখিলা(বর্তমান সারিয়াকান্দি) ও বগুড়া থানা এবং রংপুর জেলা থেকে দেওয়ানগঞ্জ ও গোবিন্দগঞ্জ থানা এবং দিনাজপুর জেলা থেকে লালবাজার(বর্তমান পাঁচবিবি ও জয়পুরহাট) ক্ষেতলাল ও বদলগাছি থানা নিয়ে গঠিত হয় বগুড়া জেলা। পরবর্তীতে ইতিহাসের নানা পর্বে নানা পরিবর্তনের মাধ্যমে এই জেলা তার বর্তমান রূপ ধারণ করে। ১২৭৯ থেকে ১২৮২ খ্রিস্টাব্দ সময়ের মধ্যে দিল্লির সম্রাট গিয়াস উদ্দিন বলবনের দ্বিতীয় পুত্র নাসির উদ্দিন ওরফে বগড়া খাঁন তৎকালিন বাংলার শাসক ছিলেন।অনুমান করা হয় তখন তাঁর নামেই এই অঞ্চলের নাম নামকরণ হয় বগড়া পরবর্তীতে যা বগুড়া নামে রূপান্তরিত হয়।আধুনিক বগুড়া শহরের পশ্চিম প্রান্তে পুরানবগুড়া নাকক স্থানে একটি পুরনো কবর রয়েছে। স্থানীয়রা মনে করেন এটি বগড়া খাঁনের কবর।এই কবরকে কেন্দ্র ক’রে প্রতি বছর এখানে ওরসের আয়োজন হয়। ইতিহাসের নানা অনুষঙ্গে ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এই জেলা। বর্তমানে বগুড়ার দই তো সারাদেশে বিখ্যাত।