বঙ্গবন্ধু বিপিএল শিরোপা জিতলো রাজশাহী রয়্যালস  

খেলা

খেলাধুলা ডেস্ক :
এবার নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে বিপিএল, জানা ছিল আগেই। ফাইনালের দুই দল- খুলনা টাইগার্স আর রাজশাহী রয়্যালসের মধ্যে কোনোটিই এর আগে শিরোপার স্বাদ পায়নি। তবে শেষ পর্যন্ত দুই দলের মধ্যে কারা শেষ হাসি হাসে, সেটার জন্যই ছিল সব রকম অপেক্ষা।

সেই অপেক্ষার অবসান ঘটলো। বিপিএলের নতুন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ট্রফি হাতে তুললো রাজশাহী রয়্যালস। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উত্তেজনাকর এক ফাইনালে মুশফিকুর রহীমের খুলনা টাইগার্সকে ২১ রানে হারিয়েছে আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী।

১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলা খুলনা। মোহাম্মদ ইরফানের করা প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরের পথ ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত (০)। পরের ওভারে আবু জায়েদ রাহির শিকার আরেক ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজও (২)। ১১ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় খুলনা।

সেখান থেকে দলকে অনেকটা এগিয়ে নিয়েছেন শামসুর রহমান শুভ আর রাইলি রুশো। ইনিংসের ১১তম ওভারে রুশোকে (২৬ বলে ৩৭) ফিরিয়ে রাজশাহীর মুখে হাসি ফোটান মোহাম্মদ নওয়াজ।

দুই ওভার পর খুলনাকে ম্যাচ থেকেই ছিটকে দেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। হাফসেঞ্চুরিয়ান শুভকে (৪৩ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৫২) ফেরানোর সঙ্গে মারকুটে আরেক ব্যাটসম্যান নাজিবুল্লাহ জাদরানকেও (৪) তুলে নেন ডানহাতি এই পেসার।

খুলনার শেষ ভরসা হয়ে ছিলেন মুশফিক। আন্দ্রে রাসেলের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে তিনিও শেষতক বোল্ড হয়ে গেলে শিরোপা স্বপ্ন ভেঙে যায় দলটির। ১৫ বলে ২ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় খুলনা অধিনায়ক করেন


রাজশাহীর পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ ইরফান, আন্দ্রে রাসেল আর কামরুল ইসলাম রাব্বি।

এর আগে ইরফান শুক্কুরের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৪ উইকেটে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করায় রাজশাহী রয়্যালস। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য তেমন ভালো ছিল না তাদের। লিটন দাসের সঙ্গে আফিফ হোসেনের ১৫ বলের উদ্বোধনী জুটিতে আসে মাত্র ১৪ রান।

৮ বলে ১০ রান করে আফিফ শিকার হন মোহাম্মদ আমিরের। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ দৌড়ে এসে যেভাবে ক্যাচটি নিয়েছেন, আসল কৃতিত্বটা দিতে হবে তাকেই।

সঙ্গী হারিয়ে সাবধান হয়ে যান লিটন। খেলছিলেন দেখেশুনে, ঠিক টি-টোয়েন্টির আমেজ ছিল না তার ব্যাটে। শুক্কুরের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়ে লিটন সাজঘরে ফেরেন ২৮ বলে ২৫ রান করে।

এরপর শোয়েব মালিকও সুবিধা করতে পারেননি। ১৩ বল খেলে মাত্র ৯ রানে রবি ফ্রাইলিংককে তুলে মারতে গিয়ে শান্তর ক্যাচ হন। তবে অপরপ্রান্তে নিজের হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন শুক্কুর। দারুণ ব্যাটিংয়ে এগিয়ে চলা এই ব্যাটসম্যানকে অবশেষে থামান আমির। ৩৫ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় শুক্কুর করেন ৫২ রান।

পরের সময়টায় চালিয়ে খেলে দলের পুঁজি বড় করেছেন আন্দ্রে রাসেল আর মোহাম্মদ নওয়াজ। শহীদুলের করা ১৭তম ওভারে অবশ্য লংঅনে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাসেল। ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার তখন মাত্র ৯ রানে। সেই ক্যাচটি দৌড়ে এসে হাতে নিয়েও ফেলে দেন শান্ত।

শেষ পর্যন্ত রাসেল ১৬ বলে ৩ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ২৭ রানে। তার চেয়ে বেশি ভয়ংকর ছিলেন মোহাম্মদ নওয়াজ। পাকিস্তানি এই ব্যাটসম্যান ২০ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় খেলেন হার না মানা ৪১ রানের ইনিংস।

খুলনার পক্ষে ২টি উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির। একটি করে উইকেট রবি ফ্রাইলিংক আর শহীদুল ইসলামের।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.