বরগুনা প্রতিনিধি :
বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দুখালি কদভানু মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ঝুমুর নামের দশম শ্রেণীর ছাত্রী কে প্রাইভেট পড়ানো ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের সংবাদ পাওয়া গিয়েছে।
মোহাম্মদ সরোয়ার ইংরেজি টিচার বেতাগীর চান্দুখালি কদভানু মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় শিক্ষক, স্কুল থেকে ৩০০ শত গজ পশ্চিমে বাইপাস সড়কের পাশে বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা (আরডিএফ) কার্যালয়ের দোতালায় (ভাড়াটিয়া বাসায়) ছাত্রীদেরকে প্রাইভেট পড়াতেন সরোয়ার নামে ইংরেজী শিক্ষক। প্রাইভেট পড়ানোর অজুহাতে ঝুমুর নামক ১০ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
ইংরেজি শিক্ষক মোহাম্মদ সরোয়ার এর বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলা হাজারবিঘা গ্রামে। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ স্কুলে শিক্ষকতা করে আসছেন।
ঝুমুর বলেন আমি প্রত্যহ অন্যান্য ছাত্রীদের সাথে ইংরেজি প্রাইভেট পড়তে আসতাম স্যার আমাকে সুযোগ বুঝে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি আমার বান্ধবীদের মধ্যে জানাজানি হলে স্যার এরিয়ে যেতে থাকেন। আমি আমার প্রধান শিক্ষক শামীমা নাসরিন কে বিষয়টি বললে সে আমাকে লীনা ম্যাডাম ও রানী বুয়ার সহযোগিতায় খলিশাখালী বাজারের ডাঃ বিমলের কাছে পাঠালে ডাঃ বিমল আমার কোন সমস্যা নাই বলে জানান। লীনা ম্যাডাম আমাকে তিরস্কার করে বলেন তুই খালি খালি সরোয়ার স্যারকে দোষারোপ করছ।
মেয়েটি জানায় গত ১৬,০৩,২২ এবং ১৭,০৩,২২ তারিখ দুপুর ১:৩০ আমার সাথে জোরপূর্বক সরোয়ার স্যার মেলামেশা করলেও বিষয়টি কয়েকজন শিক্ষককে জানলেও তাদের কাছ হতে কোন ধরনের সহযোগিতা না পেয়ে বাড়িতে গিয়ে আমার বাবা মায়ের কাছে বলি।
আমার বাবা সামাজিক অবস্থার দিকে তাকিয়ে বিষয়টি গোপন করার চেষ্টা করেন পরবর্তীতে আমি আমার জীবনের কথা ভেবে বেতাগী থানায় অফিসার ইনচার্জকে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামীমা নাসরিন বলেন কোন শিক্ষক অন্যায় করলে তাকে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই,তবে আমার কাছে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি।
এ ব্যাপারে বেতাগী থানায় যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভিযুক্ত ব্যক্তি যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।