ডেস্ক রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে নিজের ঘরের খাটের নিচ থেকে দুই ভাই-বোনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলো- সলিমাবাদ ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার সৌদিআরব ফেরত কামাল উদ্দিনের ১০ বছর বয়সী ছেলে কামরুল ইসলাম ও ১৪ বছর বয়সী মেয়ে শিপা আক্তার। শিপা বাঞ্ছারামপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী এবং কামরুল সলিমাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যাালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।
তারা ওই গ্রামের সৌদিফেরত প্রবাসী কামাল মিয়ার সন্তান। ঘটনার জানার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, ছেলেকে বিকেল থেকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ছেলেকে না পেয়ে মা হাসিনা আক্তার মেয়ে শিপাকে রান্নাঘরে রেখে ছেলের সন্ধানে যান। পরে ছেলের সন্ধান না পেয়ে বাড়ীতে ফিরে এসে দেখেন মেয়ে নিখোঁজ। পুলিশ জানিয়েছে, বিকেল থেকে কামরুল ও শিপার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্তানদের খোঁজ পেতে কামাল উদ্দিন এলাকায় মাইকিংও করেন।
পুলিশকেও ঘটনাটি জানানো হয়। পরে রাতে নিজ দালানের দুই রুমের দুই খাটের নিচে তাদের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। তিন সন্তানের মধ্যে দুজনকে হারিয়ে মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। জ্ঞান ফিরলেই চিৎকার করে উঠছেন। এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে তাদের বাড়িকে ঘিরে। ঘটনার পর থেকে নিহতের মামা বাদল পলাতক রয়েছেন।
কেন মামা পলাতক এই নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, নিহতদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কেন এবং কিভাবে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে-সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। নবীনগর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।