ভালোবাসার মানুষ ও জীবনসঙ্গী হিসেবে সাংবাদিকরাই সেরা।

ফিচার

এম শাহীন আলম :
ভালোবাসার মানুষ ও জীবনসঙ্গী হিসেবে সাংবাদিকরাই সেরা। আর এর পেছনে নাকি একাধিক কারণও রয়েছে। সম্প্রতি এমনি তথ্য দিয়েছে একটি সমীক্ষা।

সমীক্ষা বলছে, অন্য যে কোনো পেশার মানুষের চেয়ে সাংবাদিকরা প্রেমিক বা প্রেমিকা হিসেবে অনেকটাই এগিয়ে। কারণ কাজের প্রয়োজনে তাদের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। যে কোনো জায়গার ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে জবাব পাওয়া যায় খুব সহজে।

এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে মিশে কোথায় কী বলতে হবে, কোথায় কীভাবে থাকতে হবে, তা নিয়ে সম্যক ধারণা তৈরি হয়ে যায়। ফলে যেখানেই আপনি তাকে নিয়ে যান না কেন, অস্বস্তিতে তো পড়বেনই না। বরং সাংবাদিক সঙ্গী থাকলে আপনার মর্যাদাও বেড়ে যাবে কয়েকগুণ।

সাংবাদিকতার পেশায় সম্মান থাকলেও পারিশ্রমিক অন্য পেশার তুলনায় কম। শুধু ভালোবাসা আর নেশার তাগিদেই অনেকে এই পেশা বেছে নেন। টাকার চেয়ে তাদের কাছে সম্মান অনেক বড়।

সাংসারিক জীবনেও এই মনোভাব কাজ করে। ফলে স্বামী বা স্ত্রীয়ের আয় নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।এমন সঙ্গী পাওয়া সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার।

ইচ্ছা-অনিচ্ছার ঊর্ধ্বে গিয়ে পরিস্থিতির চাপে পড়ে কঠোর পরিশ্রমী হয়ে ওঠে তারা। সঙ্গী বা সঙ্গিনী যদি পরিশ্রমী হয়, তবে তো সবারই লাভ। তার উপর কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক না গলানোর মতো সময় তাদের থাকে না।

এমনও অনেক কাজ আছে যা তারা করতে ইচ্ছুক না। তবে প্রয়োজনে তাদের অনেক কিছুই করতে হয়। তা সাংসারিক জীবনেও উপকারে লাগে। এ ছাড়া পেশার খাতিরে তাদের পড়াশোনাও করতে হয় প্রচুর। তাই যে কোনো বিষয়ের উপর মোটামুটি জ্ঞান তাদের থাকে।

এ ছাড়া পেশার খাতিরেই বিশ্বাসী হন সাংবাদিকরা। আর সংবাদ উৎস সব সময় গোপন রাখতে হয়। যা ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.