মোঃ রাজু মিয়া রংপুর থেকে :
মহান সৃষ্টিকর্তার পর অসুস্থ অবস্থায় আমরা যার উপর ভরসা করি তিনিই একজন ডাক্তার। সৃষ্টিকর্তার কৃপা এবং একজন ডাক্তারের উছিলায় রোগী সুস্থতা ফিরে পেতে পারে। কেননা পৃথিবীতে মানবসেবা করার সর্বোৎকৃষ্ট পেশা হলো ডাক্তারি পেশা। বহু ত্যাগ, শ্রম এবং মেধার সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় পর একজন ডাক্তার তৈরি হয়। যার মানবিক ব্যবহারের মধ্যে সত্যিকারের ভালোবাসা ও সততায় মুগ্ধ হতে হয়। তিনি উদার মানবদরদি সামাজিক মানুষ।
বলছি তেমনই একজন মানবিক ও দায়িত্বশীল পল্লী চিকিৎসকের কথা, ডাঃ শাহ্ মোঃ খোরশেদ আলম ,তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে জ্বর, সর্দি কাশি, পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক, এবং গর্ভবতী মহিলাদের পেশার চেকআপসহ অন্যান্য রোগের ব্রাহ্মণী কুন্ডা বাজারে নিজস্ব ফার্মেসীতে ২৫-৩০ বছর থেকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন এই ডাক্তার।
তার মনের দরজাটা যেমন উদার, খোলামেলা, তেমনি অন্দর-সদর দরজাও উন্মুক্ত সবার আনা গোনায়। তিনি যেন পূর্ণিমার পূর্ণ জোছনার আলোর মতো চিকিৎসা সেবায় আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন। একজন চিকিৎসক মানুষকে সেবা করার যত বেশি সুযোগ পান, অন্য পেশাজীবীরা তা পান না। তাই চিকিৎসককে আগে ভালো মানুষ হতে হয়। তাহলেই তিনি হতে পারেন আদর্শিক, মানবিক একজন চিকিৎসক।
একজন চিকিৎসকের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে রোগীকে সম্মান করা। কোনোরূপ তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করা। বন্ধুসুলভ আচরণ করা। একজন চিকিৎসককে স্বভাবতই সৎ, নিঃস্বার্থ, অঙ্গীকারবদ্ধ, দেশপ্রেমিক, দায়িত্বশীল ও দয়ালু হতে হয়। রোগীকে মানবিক মন নিয়ে সেবা করে তার দুঃখ-বেদনা অনুভব করতে পারেন। এমনই একজন সদালাপী, মানবিক চিকিৎসক ডাঃ শাহ্ মোঃ খোরশেদ আলম।
তার আন্তরিকতা আর আলাপনেই রোগী অনেকটা নির্ভরতা খুঁজে পান। সুস্থ হয়ে ওঠার মনোবল ফিরে পান। তিনি রোগীকে আপন করে নিতে পারেন। শুধু রোগী নয়, মানুষকে আপন করে নেওয়ার এক অমোঘ শক্তি রয়েছে তার, যা সবাইকে মুগ্ধ করে।
রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার পশ্চিম ব্রাহ্মণী কুন্ডা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মোঃ শহিদুল ইসলাম আগুর, মাতা মিসেস উম্মে কুলসুমের প্রথম সন্তান। তিনি অনার্স মাস্টার্স সম্পূর্ণ সম্পন্ন করার পর শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন।তিনি পীরগাছা উপজেলা ব্রাহ্মণী কুন্ডা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মজীবন শুরু করেন এবং অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকেই তিনি এইচ এম এফ সি (আর এম পি)১৯৯৫ সালে সার্টিফিকেট অর্জনের সুযোগ পান।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক রোগী জানান, নিয়মিত তার কাছে আমরা চিকিৎসা নেই। তিনি খুব ভালো মানুষ এবং একজন মানবিক ডাক্তার । তার সঙ্গে কথা বললেও রোগীর অর্ধেক রোগ সেরে যায়। ডাক্তার শাহ্ মোঃ খোরশেদ আলম একজন অসাধারণ মানুষ। খুব নম্র ভদ্র, সদা হাস্যোজ্জ্বল, অমায়িক ব্যবহার ও আন্তরিক মনের মানুষ। তাঁর মতো ডাক্তার এ সমাজে বিরল। ইতিমধ্যে অনেক রোগী তার কাছে এসে সুস্থতা লাভ করেছেন।
এ বিষয়ে ডাঃ শাহ্ মোঃ খোরশেদ আলম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের ফ্রি প্রেসক্রিপশন করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছি। নিঃস্বার্থভাবে সাধারণ মানুষের সেবা করতে চাই। গরীব রোগীদেরকে সেবা ও সহযোগিতা করি, ভবিষ্যতেও করতে চাই। এতে আমার ভালো লাগে। মানব সেবাই হচ্ছে আমার মূল লক্ষ্য। দুস্থ, এতিম, আর্থিকভাবে অসচ্ছল রোগীদের বাড়িতে গিয়ে সাধ্যের মধ্যে সঠিক পরামর্শ প্রদান করে থাকি। যতক্ষণ আল্লাহ তৌফিক দিবেন, মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকবো, ইনশাআল্লাহ ।