রুবেল হোসেন চরফ্যাশন থেকে :
ভোলার চরফ্যাশন সরকারী কলেজের অফিস সহকারি, ৩দিন বয়সের নবজাতকের মা খাদিজা নাসরিনের (৩০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পরে পোস্টমর্ডেম শেষে আজ দাফন করা হয়েছে। খাদিজার ভাইয়ের দাবি তাকে মারধর করে মৃত্যু নিশ্চিত জেনে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্নহত্যার অপপ্রচার চালানো হয়।
রবিবার (২২ নভেম্বর) রাত ৯টার সময় পুলিশ খবর পেয়ে পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড কালিয়াকান্দি গ্রামে খাদিজা নাসরিনের শশুর বাড়ি থেকে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত খাদিজার লাশ ও তিন দিন বয়সের একটি নবজাতক পুত্র সন্তান কে উদ্ধার করেছেন চরফ্যাশন থানা পুলিশ৷
জানা যায়, খাদিজা নাসরিন চরফ্যাশন পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের হাদিস মিস্ত্রীর বড় ছেলে মোঃ ফারুক হোসেনের বড় মেয়ে। দুই বছর আগে পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড কালিয়াকান্দি
এলাকায় আবুল হোসেন দেওয়ানের ছেলে মোঃ কামাল হোসেন দেওয়ানের সঙ্গে বিবাহ হয়। কামাল হোসেন ইতিপূর্বে আরও দুটি বিয়ে করেছেন৷ প্রথম স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় সমঝোতার মাধ্যমে মেয়ে পক্ষ মেয়েকে ছাড়িয়ে নেয়। দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে কামালের একটি মামলা চলমান আছে৷
খাদিজার ভাই মোঃ সাইফুল ইসলাম রুবেল জানান, গত ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় আমার বোনের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়৷ পরদিন চরফ্যাশন হাসপাতাল থেকে আমার বোনকে তার শশুরবাড়িতে নিয়ে নিয়ে যান৷ শ্বশুরবাড়িতে তাকে মারধর করে মৃত্যু নিশ্চিত জেনে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্নহত্যার অপপ্রচার চালায়৷
এ বিষয়ে খাদিজার স্বামী কামাল হোসেনকে বাড়িতে না পাওয়ায় এবং মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি৷
চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ মনির হোসেন বলেন, খাদিজা নাসরিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার শেষ লাশের সুরতহাল করা হয়েছে, তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা রিপোর্ট আসার পরে জানা যাবে। এ বিষয়ে সোমবার একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মামলায় এখনো কাউকে আসামি করা হয়নি৷