ভোলা জেলা প্রতিনিধি :
ভোলার বোরহানউদ্দিনে কাচিয়া ১নং ওয়ার্ডে সিকদার হাট বাজার সংলগ্ন কাচিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ক্লার্ক মোঃ মহিউদ্দিন তালুকদারের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্রীলতাহানি ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকরে ছাত্রী জানান, ক্লাস না চলার কারনে স্যার কে ডাকতে আমি লাইব্রেরিতে যাই, গিয়ে দেখি লাইব্রেরী রুমে একা বসে আাছেন মহিউদ্দিন স্যার এবং তিনি আমাকে ভেতরে আসতে বলেন। তিনি সুযোগ বুঝে আমাকে একা পেয়ে লাইব্রেরীর রুমের ভিতর শরীরের স্পর্শ কাতর জায়গায় হাত দেয়। সেই ছাত্রী আরো জানায়, মহিউদ্দিন স্যার আমাকে বিভিন্ন ধরনের খারাপ প্রস্তাব দেয়। মাদ্রাসার গমনের পথে মহিউদ্দিন স্যার আমার পথ আগলে রাখত।সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, এই মহিউদ্দিনের নৈতিক চরিত্র খুব খারাপ। সে বিভিন্ন সময় মাদ্রাসার বিভিন্ন ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসতো। মহিউদ্দিনের নামে মাদ্রাসা আরো একাধিক ছাত্রীর কেলেঙ্কারির ঘটনা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রীর অভিভাবক জানায়, তার মেয়েকেও এই মাদ্রাসায় নানাভাবে ইভটিজিং করত মহিউদ্দিন এবং বর্তমানে তার মেয়ে লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ছাত্রী অভিযোগ করেন যে, পাঠদানের সময় মহিউদ্দিন স্যার টেবিলের নিচ দিয়ে পা ঢুকিয়ে দিতো বর্তমানে অনেক ছাত্রী এই মহিউদ্দিনের যৌন লালসার শিকার হয়েছেন। অনেক ছাত্রীরা মানসম্মান ও ইজ্জতের ভয়ে মুখ খুলছে না। বিষয়টির ব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার আখতারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ছাত্রীর গার্ডিয়ান বিষয়টি আমাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অবহিত করেছেন যে তাদের মেয়েকে মহিউদ্দিন স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক ও সভাপতি কে নিয়ে বসবো। বোরহানউদ্দিনের মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার বিশ্বাস সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি আমাকে মাদ্রাসার সুপার অবগত করেনি। আপনারা সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে নিউজ করেন তারপর আমরা ব্যবস্থা নিব। গণমাধ্যমকর্মীরা অভিযুক্ত মহিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।