বিশেষ প্রতিনিধি :
ভাষা সৈনিক মঞ্জুরুল হক সিকদার দেশব্যাপী অপহরণ, গুম ও হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দলমতের বাইরে গিয়ে বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, অপহরণ, গুম, খুন বন্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে। অপরাধীর কোনো দল নেই, কোনো মত নেই, কোনো সংগঠন নেই। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সবুজ নিখোঁজ হওয়ার প্রায় সাত বছর পূর্ণ হতে চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উচিত তাকে উদ্ধার করে পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেয়া।
রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পল্টনে গণস্বাস্থ্য হোমিও মিলনায়তনে গুম হওয়া কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সবুজের পরিবারের সাথে আলাপকালে তিনি এসব দাবী জানান।
তিনি বলেন, গুম হয়ে যাওয়া পরিবারের কি দু:সহ যন্ত্রনা এটা বলে বুঝানো যাবে না। গুম হয়ে যাওয়া সাজ্জাদ হোসেন সবুজের পরিবার এক অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তার বৃদ্ধ মা সন্তানের পথ চেয়ে চয়ে এখন বিছানায়। স্ত্রী-সন্তানরা তাকিয়ে আছে পথের পানে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে সবুজ তার পরিবারের কাছে ফিরে আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, গুম হয়ে যাওয়া সাজ্জাদ হোসেন সবুজের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জিনিয়া, কণ্যা শেখ সুমাইয়া, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. মো. আনিসুর রহমান।
উল্লেখ্য, ২১ আগস্ট কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সবুজ নিখোঁজ হওয়ার ছয় বছর পূর্ণ হলো। প্রায় সাত বছর ধরে তার অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসে আছে তার মা, বাবা, স্ত্রী, সন্তান ও শুভাকাঙ্খীরা। সন্তান ও স্বামীর সন্ধানের দাবিতে সবুজের মা ও বউ এই ছয় বছরের বিভিন্ন সময়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে মন্ত্রী, এমপি ও বড় বড় নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তাতেও সন্ধান মেলেনি সবুজের। এই অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই হচ্ছেন শেষ ভরসা। পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন ফিরিয়ে দেবার নির্দেশ দিন।
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া চেম্বার অফ কমার্স এর সাবেক সহ-সভাপতি, রাজপথের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, যুব সমাজের আইডল হিসাবে পরিচিত শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবুকে ২০১৫ইং সালের ২০ আগস্ট গাজীপুরের ড্রিম স্কয়ার রিসোর্ট থেকে আটক করে সাদা পোশাকধারীরা। আটকের ০৬ দিন পর আক্তারুজ্জামান লাবু ফিরে আসলেও এখন পর্যন্তও সন্ধান পাওয়া যায়নি শেখ সাজ্জাদ হসেন সবুজের।