মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন

অন্যান্য

আরিফ হোসেন হারিছ :
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে দৈনিক ইত্তেফাক সিরাজদিখান সংবাদদাতা ও সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক শামসুজ্জামান পনির এর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলা প্রত্যাহার এবং মিথ্যা মামলার বাদী-স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে প্রতিবাদে সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২ টায় সিরাজদিখান প্রেসক্লাবে সভাপতি ইমতিয়াজ উদ্দিন বাবুল এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক যাবেদুর রহমান জুবায়ের এর সঞ্চালনায় এই প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রতিবাদ সভায় ও মানববন্ধনে উপস্থিত সাংবাদিকগন তাদের বক্তৃতায় বলেন সিরাজদিখান থানায় যাতে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে মিথ্যার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রদান করে।মামলাটি নিস্পত্তির দাবী করে এবং মিথ্যা মামলাকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোড় দাবী জানান।

জানাযায় সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের গুয়াখোলা (নগর) জামে মসজিদের সভাপতি শামসুজ্জামান পনির মসজিদের নামে আরএস পর্চা অনুযায়ী ৯৩ শতাংশ কৃষি জমি ও ৮ শতাংশে মসজিদ স্থাপিত।শতবর্ষের পুরানো এ মসজিটির ইমামের বেতন,মসজিদের সংস্কার ও বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ করা হয় এই ৯৩ শতাংশ জমির আয় দিয়ে। কিন্তু সমাজের এক কুচক্রী মহলের নেতা ফরিদ সরকার ও তার ভাতিজা সাফিকুর সরকার অপুকে ভুয়া মোতয়াল্লী ও আতিকুর রহমান সরকার বাবুকে ভুয়া জমির অংশিদার বাদী বানিয়ে মুন্সীগঞ্জ আদালতে মসজিদ কমিটিকে না জানিয়ে মালিকানা দাবী করে মামলা করে। পরে মসজিদ কমিটি জানতে পেয়ে ঐ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে যাহা এখনো চলমান।জমিটি এখনো মসজিদ ভোগ দখল করে আসছে।জমিতে মসজিদ কমিটি মামলার নাম্বার সংবলিত বিভিন্ন তথ্যাদি লিখে সাইনবোর্ড দিয়ে রেখেছে। কিন্তু গত ২২ আগষ্ট ২০২১ইং রাতের অন্ধকারে ফরিদ সরকার ও সহযোগীরা সরিয়ে নিয়ে যায়।বর্তমানে জমিটির মামলা চলাকালীন অবস্থায় ফরিদ সরকার বিক্রির ব্যবস্থা করেছে। মসজিদ কমিটির সভাপতি শামসুজ্জামান পনিরের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যবৃন্দ ও সমাজে সর্বস্তরের মানুষ জমি বিক্রির প্রতিবাদে বাধা,মিটিং_মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন। এদিকে ফরিদ সরকার সমাজের মানুষকে দুরে রাখতে মসজিদ কমিটির সভাপতি শামসুজ্জামান পনিরের বিরুদ্ধে ভুয়া চাঁদাবাজি মামলার ১ নং আসামী করে সমাজের আরো ১৩ জনকে আসামী করে মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালতে ২ নং (সিরাজদিখান থানা) মামলা করে।বর্তমানে আদালত বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত করে সিরাজদিখান থানাকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে।

উল্লেখ্য মামলার বাদী ফরিদ সরকার (৬২) সম্ভবত ১৯৮১ সালে ঢাকা-সিলেট রুটে বাস ডাকাতি করে ধরা পরে ২ বছর জেল খাটেন এছাড়াও সম্ভবত ১৯৮৬ সালে ঢাকা-বরিশাল রুটে ষ্ট্রীমারে ডাকাতী করে ধরা পরে যাবতজীবন জেল খাটেন।

বর্তমানে ফরিদ সরকার ও তার ভাতিজা এবং সহযোগীদের নামে সিরাজদিখান থানায় ও মুন্সীগঞ্জ আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে যাহা এখনো চলমান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি ইমদাদুল হক পলাশ,সাবেক সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম বাবুল, সালাহউদ্দিন সালমান, আরিফ হোসেন হারিছ, নাসিম উদ্দিন, ইসমাইল খন্দকার সহ অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.