লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলার জাফরনগর গ্রামে রোববার সকালে চিহিৃত দুস্কৃতিকারী রাসেল প্রকাশ্যে প্রবাসির স্ত্রীকে উপর্যপুরী কুপিয়ে হত্যা করে। গ্রামবাসী ঘাতক রাসেলকে আটক করে গনপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে। পুলিশ গুরুতর আহত রাসেলকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় মৃত্যু বরন করে। জেলা পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান,ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এব্যাপারে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
সুত্রে জানায়,উপজেলার জাফরনগর গ্রামের কাতার প্রবাসী সফি উল্যাহর স্ত্রী নাসরিন সুলতানা মৌসুমীর সাথে পাশর্বর্তি বলি মোল্লা বাড়ির ছিদ্দিক মোল্লার বখাটে ছেলে রাসেল মোল্লার দীর্ঘ দিন যাবত পরকিয়া প্রেম চলে আসছে। এনিয়ে পারিবারিক চাপে মৌসুমী সর্ম্পক বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালায় এবং নিজের নিরাপত্তার জন্য থানা একটি জিডি করে। এতে রাসেল আরো ক্ষীপ্ত হয়ে প্রবাসীর স্ত্রী মৌসুমীকে প্রাননাশের হুমকি-ধমকি অব্যাহত রাখে।রোববার সকালে রাসেল উত্তেজিত মৌসুমীর নবর্নিমিত ভবনের সামনে উপস্থিত হয়ে দরজা খুলতে চাপ সৃষ্টি করে।
পরিস্থিতি দেখে মৌসুমী গ্রাম্য ছকিদার মিজানুর রহমানকে খবর দেয়। গ্রাম পুলিশ সহ গ্রামের লোকজন উপস্থিত হলে পাশবর্তি বাড়ির আনোয়ার মোল্লার নিদের্শে দরজা খুলে দেওয়া মাত্রই বখাটে রাসেল ভবনে প্রবেশ করেই মৌসুমীকে এলোপাতাডি চুরিঘাত করে। এতে প্রবাসীর স্ত্রী মাটিয়ে লুটে পড়লে স্বজনেরা দ্রুত উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করে। নিহত মৌসুমীর ছেলে নাইমুর রহমান বলেন,মাকে রক্ষা করতে আমি এবং বাড়ির রানু বেগম নামের এক নারী এগিয়ে আসলে আমাদেরও কুপিয়ে আহত করে। মাকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় গ্রামবাসী ঘাতক রাসেলকে গনপিটুরী দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করলে পুলিশ রামগঞ্জ শহরের দিকে আনার সময় পানিওয়ালা বাজার নামক স্থানে মৃত্যু হয়।
ভাটরা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মিঠু বলেন,পরকিয়া প্রেমের সুত্রধরেই হত্যার ঘটনা ঘটে। লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বলেন,অবৈবাহিক সর্ম্পকের অবনতি হওয়ায় রাসেল ক্ষীপ্ত হয়ে হত্যার ঘটনা ঘটনায়। মুহুর্তের মধ্যে উত্তেজিত জনতা ঘাতককে পিটিয়ে হত্যা করে। দুইটি হত্যার ঘটনাই পুলিশ আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করছে।