লক্ষীপুর জেলা প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায় এনজিওর টাকা (কিস্তি) পরিশোধ করতে না পেরে সুমি আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধু আত্নহত্যা করেছে বলে জানা যায়। বুধবার সকালে (২৮ অক্টোবর) শহরের পোষ্ট অফিস সড়কের বয়াতি বাড়ী থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।নিহত গৃহবধু একই এলাকার রিকশা চালক মনির হোসেনের স্ত্রী। তাদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এঘটনার নিহতের স্বামী থানায় ইউডি মামলা করেছেন।নিহত গৃহবধুর স্বামী কিরন জানান, অভাবের কারনে ব্রাক-প্রশিকাসহ কয়েকটি এনজিও ও স্থানীয় সমিতি থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা কিস্তি নিয়ে বসতঘর নির্মানসহ রিক্সা ক্রয় করেন তারা স্বামী-স্ত্রী। প্রতিদিন ও সপ্তাহে কিস্তির টাকা জমা দেয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু করোনায় ও বেশি অভাবগ্রস্থ হয়ে পড়ায় সময়মত কিস্তি পরিশোধ করতে সমস্যা দেখা দেয়। কিন্ত এনজিও ও সমিতির কর্মকর্তারা প্রতিদিন কিস্তি আদায়ের জন্য সবসময় মানুষিক নির্যাতন করতো তাদের দু’জনকে। বুধবার এনজিও’র কিস্তির টাকার জন্য কর্মকর্তারা চাপসৃষ্টি করলে, তা দিতে না পারায় স্বামীর সাথে অভিমান করে গৃহবধু সুমি নীজের কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে। পৌরসভার তিন নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজি নাজমুল কাদের গুলজার বলেন, কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পেরে আত্নহত্যা করা খুব দুঃখজনক। অসহায় পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।রায়পুর থানার ওসি জনাব আবদুল জলিল এর সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। গৃহবধুর মৃত দেহ (লাশ) উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে এবং রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো বর্তমানে থানায় ইউডি মামলা করা হয়েছে।রায়পুর উপজেলার ইউএনও এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়ইনি হয়তোবা তিনি কোনো জরুরী কাজ বা মিটিংয়ে ছিলেন।