নাজমুন নাহার মলি :
শ্রমিক লীগের নেত্রী ও মুক্ত গার্মেন্টস ফেডারেশন ফতুল্লা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদিকা হেলেনা খাতুন জয়ার রহস্যজনক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার ৬ই এপ্রিল বিকেল আনুমানিক ৪ টার দিকে বন্দর নবীগঞ্জ এলাকায় নব্য স্বামীর ভাড়া বাসায় এই এই রহস্যজনক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানাযায়। হেলেনা খাতুন জয়া সম্প্রতি বন্দর এলাকার জেড এ রাজু নামক এক ব্যাক্তিকে বিবাহ করে। এর আগে তিনি ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় বিল্পব নামে এক ব্যক্তিকে বিবাহ করে। বিল্পবের ঘরে বড় দুটি ও ছোট একটি সন্তান আছে। পারিবারিক কলাহের কারনে বিপ্লবের সাথে দীর্ঘ ২০ বছর পর বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে তবে বিচ্ছেদের পরও একই ছাদের নিচে তারা বসবাস করতো। নারায়ণগঞ্জে সিটি নির্বাচনের পূর্বে হেলেনা খাতুন জয়া পূর্বের স্বামীর ঘর ছেরে বন্দর নবিগঞ্জ এলাকায় বাসা নেয়। জানাগেছে পূর্বের স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া সত্বেও শুধু মাত্র সন্তানদের সাথে থাকতেই বিচ্ছেদকৃত স্বামীর ঘরে তিনি থাকতেন।
তবে কি কারনে পূর্বের বিচ্ছেদকৃত স্বামীর ঘর ছেরে চলে আসে তা জানা যায়নি। সম্প্রতি তিনি রাজু নামক এই ব্যাক্তিকে বিয়ে করার কিছু দিন পূর্বে তার ফেসবুক আইডি হতে আত্মহত্যা করার কথা জানায় কিন্তু বিষয়টি কেউ আমলে নেয়নি। বিভিন্ন সুত্রে আরো জানা যায় গত ২৯ মার্চ সকালে বেশ কিছু ঘুমের ঔষুধ সেবন করে জয়া অচেতন অবস্থায় পরে থাকে। তার নব্য স্বামী রাজু তার মাথায় পানি ঢেলে তার জ্ঞান ফিরায়। এর দু দিন পরে রাজু তার ফেসবুক আইডি হতে লিখে আমাদের মধ্যে কোন বিবেদ নেই কুচক্রি মহল জয়ার ফেসবুক হেক করে আমাদের মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত। তবে এই লেখার পিছনে ছিলো অনেক রহস্য যা পুলিশ প্রশাসন খতিয়ে দেখলে হয়তো সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে বলে মনে করেন জয়ার শুভাকাঙ্খীরা।
হেলেনা খাতুন জয়া দীর্ঘদিন যাবত শ্রমিকলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো এমনকি আওয়ামীলীগের যে কোন কর্মসূচিতে তাকে দেখতে পাওয়া যেতো। জয়া জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মীগের যুগ্ম সম্পদাক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। জয়ার অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তাঁর শুভাকাঙ্খী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এ দিকে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ শুনে সকলেই ছুটে জান নবিগঞ্জ বাসায়। বন্দর থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পরে রাত ৯ টার দিকে বন্দর থানা পুলিশ বাদি হয়ে আত্মহত্যা মামলা রজু করা হয়,