বিশেষ প্রতিবেদক :
স্বজাতির কাউকে হারিয়ে মত্ত হাতির প্রতিশোধের ঘটনা নতুন নয়। এবার শেরপুরে চার মাসে চারটি হাতির মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষেপে উঠেছে হাতির পাল। প্রায় প্রতিদিনই হামলা করছে লোকালয়ে। হাতির ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে সীমান্তবাসীর। প্রশাসনের কাছে স্থায়ী সমাধান চাইছেন তারা।
শেরপুরে চার মাসে মানুষের হাতে মারা পড়েছে চারটি হাতি। সেই প্রতিশোধ নিতেই হাতির পাল প্রায়ই হানা দিচ্ছে লোকালয়ে। গেল সপ্তাহে সীমান্ত এলাকার একটি কৃষি প্রকল্পসহ ছয়টি বাড়িতে হামলা চালায় বন্য হাতিরা।
গারো পাহাড়ে পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে হাতিরা নেমে আসে ফসলি জমিতে। বাধা দিতে গিয়ে প্রাণও যায় কারও কারও। স্থানীয়দের দাবি, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার হাতির উপদ্রব বেশি। প্রশাসনের কাছে স্থায়ী সমাধান চাইছে তারা।
২০১৭ সালে হাতি তাড়াতে কোটি টাকা ব্যয়ে সোলার ফেন্সিং প্রকল্প শুরু হলেও এখন বন্ধ সেসব। তালাবদ্ধ প্রকল্প কক্ষে নেই কোনো যন্ত্রপাতি। দুই একটি খুঁটিতে ঝুলছে জিআই ক্যাবল, বাইরেও নেই মালামালের অস্তিত্ব। তবে হাতি ঠেকাতে অভয়ারণ্য তৈরির প্রস্তাব দিচ্ছেন ট্রাইবাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নবেশ ক্ষকসি। তার সাথে একমত ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদও।
২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মারা গেছেন ৩০ জন। একই সময়ে সীমান্তে প্রাণ গেছে ২০টি হাতির।