সুচিত্রা রায় :
করোনা ভাইরাস সংক্রামিত আতঙ্কিত সারাদেশ মহামারী পরিস্থিতি সংকটাপন্ন সন্ধীক্ষনে আশুলিয়া থানার সামনে গত ১০/০৪ /২০২০ রোজ শুক্রবার সন্ধায় এক সহায় সম্বলহীন মহিলা তার গর্ভের সন্তান প্রসবের সময় সীমা পার হয়েগেলে নিরুপায় হয়ে। মানুষের ভালোবাসায় শিক্ত ওসি শেখ মোঃ রেজাউল হক দিপুর স্বরনাপন্ন হয়ে কান্না কাতর হয়ে পড়েন।
ওসি শেখ মোঃ রেজাউল হক দিপু মেয়েটির সব কথা শুনে সাথে সাথে হ্যাপি জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান বরাবর টেলিফোনে যোগাযোগ করে থানার গাড়িতে করে হাসপাতালে পাঠায়ে সিজারের ব্যাবস্থা করেন। ঔষধ পত্র সহ সকল ব্যবস্থা ফ্রীতে দিয়ে হ্যাপি জেনারেল হাসপাতালে চেয়ারম্যান সফল ভাবে সিজার সম্পন্ন করেন। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে ওই নারীর কোল আলোকিত করে একটা ফুট ফুটে কন্যা সন্তান এই পৃথিবী আলোকিত করে জন্মানিলেন।
মানুষের প্রতি এমন ভালোবাসায় আশুলিয়া থানার সকল শ্রেনী পেশার মানুষের মনের মনি কোঠায়,জায়গা,করে নিয়েছেন ওসি শেখ মোঃ রেজাউল হক দিপু।
শেখ মোঃ রেজাউল হক দিপু আশুলিয়া থানায় যোগদানের পর থেকে আশুলিয়ার রুপটাই পাল্টে দিয়েছেন দুর করেছেন টাউট বাটপার দালালের দৌরাত্ম্য। মামলা না করে থানায় বসে মিমাংসা করে চলছেন অগনিত সমস্যা।
করোনা ভাইরাস সংক্রামিত আতঙ্কিত আশুলিয়া বাঁসিকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন? বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাহির হওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেন? সরকারের নির্দেশনা মেনে চলতে বলেন। হতদরিদ্র ও মেহনতী মানুষের পাশে আছেন থাকবেন বলেন। সকল মানুষের জন্য চব্বিশ ঘণ্টা খোলা রেখেছেন তার মোবাইল ফোন।
দেশের এমন সময়ে হাত ধোয়া এবং পরিস্কার পরিছন্ন থাকার জন্য থানার সামনে ট্যাপ বসিয়ে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে রেখেছেন থানার দরজা। বিশেষ করে থানায় জিডি অভিযোগ করতে কোনো টাকা লাগেনা এটা বড় বড় অক্ষরে লিখে প্রঙ্গাপন টানিয়ে রেখেছেন থানার দেওয়ালে।
নবজাতক কে দেখতে ওসি শেখ রেজাউল হক দিপু হ্যাপি জেনারেল হাসপাতালে যান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মা সন্তান দুজনই সুস্থ সুন্দর আছেন বলে নিশ্চিত করেন।