বিশেষ প্রতিবেদক :
এই তো গত আড়াই/তিন বছর আগেও যিনি টাঙ্গাইলের শহর তলীতে একটি ঔষধের দোকানে চাকুরী করতেন,ভাগ্য ক্রমে বেশি রোজগারের আশায় গত আড়াই বছর আগে পাড়ি জমান সৌদিতে,বর্তমানে তিনি সৌদির হাইল এর সামিরায় কর্মরত ছিলেন, গত প্রায় ১ মাস আগে সৌদিতে ভিসা দিয়ে ভালো চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের লাখ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন টাঙ্গাইল পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের বেড়াডোমা পশ্চিম পাড়ার দুলু মিয়ার ছেলে রফিক,
অনুসন্ধানে জানা যায়,তার সাথে এই ভিসার প্রতারণার ব্যবসায় পূর্ণ পরামর্শ ও সহযোগিতা করেন ঢাকা বনানীর দিশারী ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের ট্রাভেল এজেন্সিতে কর্মরত কর্মকর্তা টাঙ্গাইলের মো. আব্দুল লতিফ,জানা যায়,এই রফিক খুব মিষ্টুভাষী লোক,সৌদিতে কুমিল্লার মহরম নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে হোটেল,রেস্টুরেন্টের ভালো ভিসার কথা বলে “সাপ্লাই ভিসা” দিয়ে প্রতিটি ভিসা থেকে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা করে নেন রফিক,এর মধ্যে ৫ জন লোক সৌদিতে নিয়ে যান,কুমিল্লার মহরম ছাড়াও আরো বহু লোক বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সাপ্লাই ভিসার মাধ্যমে নিয়ে যায় প্রতারক রফিক,জানা যায়,যাদের সৌদিতে নিয়ে যাওয়া হয়,তাদের কাউকে কথা মতো হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টে চাকুরী দিতে না পারায়,১জন লোক বহু কস্ট করে দুইমাস তিন মাস বসে থেকে বাংলাদেশে ফেরৎ আসে,লোক গুলার কোন কাজ নেই,তার এই সব ভিসায় যাওয়া বাকি যারা সৌদিতে অবস্থান করছে প্রত্যেকটি লোক খুব বিপদে মধ্যে আছে বলে ভোক্তভোগী মহরম আলী জানান,মহরম আলী আরো বলেন,লোক গুলি সৌদিতে আসার পর থেকে প্রতারক রফিক ঠিক ভাবে আমার ফোন রিসিভ করে না,লোকজনকে কাজেরও ব্যবস্থা না করলে এমন অবস্থায় তাকে চাপ প্রয়োগ করলে রফিক কাউকে কিছু না বলে ছুটি কাটার কথা বলে লুকিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে যায়,মহরম মোবাইল ফোনে প্রতিবেদক কে জানান,এই প্রতারক রফিক বাংলাদেশে যাওয়ার পর থেকে আমার সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়,এর পর বহু কষ্ট করে তার গ্রামের বাড়ী টাঙ্গাইলের ঠিকানাটি বের করে,আমার দেশে থাকা নিকটতম আত্নীয়দের রফিকের বাড়িতে পাঠাই,আমার আত্নীদের রফিকের বাড়িতে দুইবার পাঠানোর পর সে তাদের সাথেও ছলচাতুরী সহ দিনের পর দিন কালক্ষেপন সহ হুমকি দমকি দিয়ে যাচ্ছে,ভোক্তভোগী মহরম বলেন,রফিক কে বিশ্বাস করে আমি সৌদিতে খুব বিপদের মধ্যে আছি,যে সব লোকগুলাকে রফিক বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসছে প্রতিটি লোক খুব বিপদের মধ্যে আছে, এহেন অবস্থায় আমি বাংলাদেশ সরকার ও প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি,আমার সাথে রফিক যে প্রতারণা করে বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে তাকে আইনের আওতায় এনে আমার মতো গরীব লোকের সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় সকল আইনানুগ ব্যবস্হা সহ প্রতারক রফিকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি, জানা যায়, প্রতারক রফিকের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে,এই বিষয়ে বক্তব্যের জন্য মো.রফিককে বেশ কয়েক বার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও রফিক তার ফোনটি রিসিভ করেননি, পরবর্তী অনুসন্ধানে বিস্তারিত পরের সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে,