স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে বিয়ে বাধা দেওয়ায় মেয়ের বাবা, মা সহ দাদীকে মারপিটের অভিযোগ

অপরাধ

মনিরামপুর(যশোর)প্রতিনিধি :
অষ্টম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে অপহৃণ করে বিয়ে! বাধা দেওয়ায়। মেয়ের বাবা, মা সহ দাদীকে মারপিটের ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আলাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ সুমন হোসেন, প্রতিবেশী মোঃ নুরুজ্জামানের (চন্টা) মেয়ে মোছাঃ রুপসানারা খাতুন কে অপহরণ করে আটকে রেখে জোরপূর্বক বিয়ে ।অতঃপর বাধা দেওয়ায়। মেয়ের বাবা, মা সহ দাদীকে মারপিটের ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় যশোর বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে মামলা দায়ের করা হয়েছে যার ধারা নাং৭-৯(১)/৩০।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ইং-০৯/০৩/২২ তারিখ রাত অনুমান ৮ ঘটিকার সময় প্রতিবেশী আলাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ সুমন হোসেন ও মোছাঃ রুপসানারা খাতুন (১৪) কে জোর পূর্বক পহরণ করে নিয়ে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে আটকে রেখে বিবাহ করে।
পরবর্তীতে বিবাদী মোঃ সুমন হোসেনের বিরুদ্ধে যশোর বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমনের মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি চলমান থাকা অবস্থায় ইং-০৫/০৪/২২ তারিখে মেয়েটির বাড়িতে চলে আসে।অদ্য ইং-০৬/০৫/২২ তারিখ সন্ধ্যা ৭টার সময় বিবাদি মেয়ের বাড়িতে গিয়ে।জোর পূর্বক নিয়ে যাওয়ার সময় মেয়ের বাবা-মা-দাদী বাধা দিলে তাদের কে এলোপাতাড়ী ভাবে কিল,ঘুষি,লাথি,চড় মারিতে থাকে এতে সুমন হোসেনর হাতে থাকা কাচির আঘাতে মেয়ের বাবার কনিষ্ঠা আঙ্গুল কাটাঁ পড়ে রক্তাক্ত জখম করে ।তখন তাদের ডাক চিৎকারে আসেপাশের লোক ছুটে আসলে মেয়ে মোছাঃ রুপসানারা খাতুন কে নিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে মনিরামপুর থানার এসআই প্রশনজিৎ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মারপিটের ঘটনার অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে অভিযান চালাই। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়িতে থাকা সবাই পালিয়ে যায়। বিবাদী মোঃ সুমন হোসেনের বিরুদ্ধে যশোর বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি চলমান রয়েছে।
খাটুয়াডাঙ্গা ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন,মনিরামপুর থানার এসআই প্রশনজিৎ স্যার আমাকে বলেন, মেয়েকে খুজে বের করতে আমি গোপনে ছেলের বাড়িতে গিয়ে মেয়ে কে দেখতে পাই তখন মেয়ের বাবা কে মিমাংশার মাধ্যেমে লিখিত দিয়ে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যেতে বলি।তখন মেয়ের বাবা বলেন আমি কোন লিখিত দিয়ে মেয়ে নিব না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.