রুবেল আহমেদ :
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা বলেছেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বামপন্থীরা কারো ‘খালু’ ছিল না। তারা স্বাধীনতা ও মুক্তির লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বামপন্থীরাই প্রথম স্বাধীনতার সাহসী উচ্চারণ করেছে। একথা ধ্রুবতারার মতো সত্য যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা দিয়েছেন। নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতার চূড়ান্ত রূপ দিয়েছেন। তবে এর সাথে বামপন্থী ও কমিউনিস্টদের স্বপ্ন ঘাম, অশ্রু আর রক্ত জড়িয়ে আছে। কিছু বামপন্থীর ভুলের জন্য স্বাধীনতার গৌরব থেকে বামপন্থীদের বাদ দেয়া যাবে না।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা ঘোষণার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে ‘স্বাধীনতা জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা ঘোষণা থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি। সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি।
বক্তারা আরও বলেন, যারা ছাপান্নতে ’৯৮ ভাগ স্বায়ত্ত্বশাসন অর্জিত হয়েছে বলে দাবি করেছিল, পূর্ব বাংলার উপর সংখ্যাসাম্যের নীতি চাপিয়ে দিয়েছিলো, ইতিহাসে তাদের স্থান কোথায় হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সকল উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে জনগণের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে। এ গৌরব সবারই।
জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রতিজ্ঞা করে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে, কিন্তু জনগণতন্ত্র দূরে থাক, একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। তাই বলে জনগণতন্ত্রের স্বপ্ন, সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন মিথ্যা হয়ে যায়নি। আজ না হোক ভবিষ্যতে স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়বোই। ৫০ বছরে এটাই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন গ্রুপ) তৎকালীন সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, শামসুল হুদা, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল।
সভাটি সঞ্চালনা করেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা মহানগর সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইন।