ঢাকার আশুলিয়াতে শিক্ষককে পিটিয়ে আইসিউতে পাঠালো ছাত্র

অপরাধ

সাভার(ঢাকা) প্রতিনিধি :
সাভারের আশুলিয়ায় একজন স্কুল শিক্ষককে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে ওই স্কুলেরই দশম শ্রেনীর এক ছাত্র। মূমুর্ষু অবস্থায় ওই শিক্ষক আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আশুলিয়া থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার(২৬ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার এসআই এমদাদুল হক। এর আগে শনিবার দুপুর ২ টার দিকে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল এন্ড কলেজের মাঠপ্রাঙ্গনেই শিক্ষকের উপর অতর্কিত হামলা চালায় ওই ছাত্র।

হামলার পর ওই শিক্ষককে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তিনি বর্তমানে সেখানে মুমুর্ষ অবস্থায় আইসিউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আহত শিক্ষকের নাম উৎপল কুমার সরকার। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের পৌরনীতি ও সুশাসন বিষয়ের শিক্ষক এবং শৃংখলা কমিটির সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়। অভিযুক্ত ছাত্র দশম শ্রেনীর বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত। সে তার পরিবারের সাথে জামগড়া এলাকাতেই বসবাস করে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ওই শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান বলেন, আমাদের স্কুলে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলছিল। দুপুরে মাঠের একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষক উৎপলকে হঠাৎ করে এসে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে ওই ছাত্র। স্ট্যাম্পের আঘাতে শিক্ষকের মাথায় জখম হয়। উৎপল স্যার স্কুলের শৃংখলা ও পরিবেশ কমিটির আহবায়ক। তিনি ছাত্রদের বিভিন্ন সময় চুল কাটতে বলা সহ বিভিন্ন আচরণগত সমস্যা নিয়ে কাউন্সেলিং করেন। বিভিন্ন অপরাধের বিচারও করেন তিনি। হয়ত কোন কারণে সেই শিক্ষকের উপর ছাত্রটির কোন ক্ষোভ রয়েছিল।

জানা যায়, ওই ছাত্রটি পড়াশোনায় খুবই দূর্বল। তা সত্ত্বেও স্কুলে এসে ওই ছাত্র বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়। এর আগে মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডে পড়াশোনা করায় সাধারণ শিক্ষার সাথে খাপ খাওয়াতে পারছিলনা সে।

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, আঘাতে তার শরীরের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ হয়েছে। শিক্ষক উৎপলের পেটে বড় ধরণের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তার মাথায় আঘাত লাগলেও সেটি তেমন গুরুতর না। বর্তমানে তিনি মূমুর্ষু অবস্থায় আইসিউতে রয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই মোঃ এমদাদুল হক বলেন, আমি হাসপাতালে গিয়ে রোগীর স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলেছি। তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দ্রুতই অপরাধীকে গ্রেফতার করতে আমরা চেষ্টা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.