গাজীপুর পূবাইলে সালাম কাউন্সিলর কর্তৃক লাঞ্চিত দলিল লেখক আহাদ আলী

অপরাধ

রবিউল আলম :
গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল মেট্টো থানার ৪২ নং ওয়ার্ডে মোবাইলে অন্যের মুখে শোনা সাধারণ কথা কে কেন্দ্র করে ঐ এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা কামারগাঁও নূরে মদিনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মোতাল্লীও দলিল লেখক সমিতির সহ সভাপতি আহাদ আলী নামক এক ব্যাক্তিকে উপস্হিত জনতার সামনে প্রহার ও লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্হানীয় ৪২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সালাম বি.এ এর বিরুদ্ধে।

ঘটনা প্রবাহে জানা যায়,৪২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ-প্রার্থী এ্যাডঃমজিবুর রহমান এর পক্ষ হতে গত ২৩/০৬/২০২২ তারিখ বৃহস্পতিবার বিকালে ওয়ার্ড আহ্বায়ক মিজান মাস্টার,এ্যাডঃমজিবুর রহমান,কর্ণেল শাহাদাত,হাতেম, আহাদ আলীসহ বেশ কিছু লোক বিন্দান বাদুরতলা এলাকায় সাধারণ জনগনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করতে যান তার সাথে থাকা একাধিক ব্যাক্তিবর্গ।সেখানে জামির উদ্দিন এর দোকানে চা চক্রে সবাই বসলে হঠাৎ ঐখানে ৪২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সালাম বি.এ উপস্থিত হয়ে আহাদ আলীকে উদ্দেশ্য করে নানা কথা বলে।উপস্হিত ব্যাক্তিবর্গ কারণ জানতে চাইলে বলে,কে বা কারা তার মাকে জড়িয়ে খারাপ মন্তব্য করেছেন। এক পযার্য়ে কিছু বুঝে উঠার আগেই পাশে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে দিয়ে তার ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ নেতা ও গাজীপুর সাবরেজিষ্টার অফিসের দলিল লেখক সমিতির সহ-সভাপতি ও আহাদ আলীর পায়ে ও পিঠে স্বজোরে আঘাত করে।এ ঘটনায় উপস্থিত জনতা তাৎক্ষনিকভাবে কাউন্সিলর এর প্রতি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।সকলের পরামর্শ মতে আহত আহাদ আলী গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আসে।

এ দিকে ৪২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সালাম বি.এ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,আমার বিশ্বস্ত সোর্স দুলাল বলেছে তাই তার কথায় আমি এ কাজ করছি।অপর দিকে ঐ ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুলালকে একাধিকবার ফোন করে জানা যায় কথাটি আমি শুনেছি তাই কাউন্সিলর সালাম ফোনে আমার নিকট জানতে চাইলে আমি স্বীকার করি,কিন্তু আমার নিকট রেকর্ডীয় কোন প্রমাণ নেই।তবে আমি কাউন্সিলর সালামের খাস লোক।

এ দিকে আহাদ আলী ও তার পরিবারের দাবি,কাউন্সিলর সালামের সাথে তাদের কোন বিরোধ নেই।কিন্তু কেন কি উদ্দেশ্য সে আমাকে জনসম্মুখে প্রহার ও লাঞ্ছিত করেছে তা জানি না, আমি এর সঠিক বিচার চাই।এ বিষয়ে পূবাইল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী।

এ বিষয়ে পূবাইল থানা অভিযোগের তদন্তকর্মকর্তা এস আই সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আহাদ আলীকে লাঞ্চিত করার বিষয়টি কাউন্সিলর স্বীকার করেন কিন্তু নগদ টাকা ও মোবাইল নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.