বিশেষ প্রতিবেদক :
বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলাধীন দরগাহাটে ফিরোজ নামে এক ব্যক্তির দোকানঘর ভাংচুর ও লুটপাট করায় অভিযোগ ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা এবং ভুক্তভোগী জানান,নারহট্ট সরদার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম ফিরোজ দরগাহাট স্ট্যান্ডে ফিরোজ স্টোর নামে দোকান করে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা করে আসছেন।
নারহট্ট পূর্ব পাড়া গ্রামের মৃত আবু তাহেরের পুত্র মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন স্বপন ও একই এলাকার শাহাদত হোসেন এর পুত্র মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন দরগাহাটস্থ নারহট্ট মৌজার জে.এল নং-৪৭, আর.এস খতিয়ান নং-১৬৫, খারিজি খতিয়ান নং-১৬৫৮ ও ১০৯৯,এস.এ দাগ নং১৩৫৪, হাল দাগ নং-২১৩৬ দাগে ২৩৭৫ কাতে ২ শতক জায়গা বিক্রয় করেন মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম ফিরোজ। কিন্তু উক্ত ২ শতক জায়গার বাইরেও জোড়পূর্বক আরো (১.৫ দের শতাংশ) জায়গা দখল করে গোডাউন নির্মাণ করেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন স্বপন ও মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন।
মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম ফিরোজ বারংবার নিষেধ করলেও তাতে কর্ণপাত করেনা মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন স্বপন। উল্টো মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম ফিরোজকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করতে থাকে। এমনকি গোডাউনে যাতায়াতের জন্য কোন রাস্তা না রেখেই ফিরোজের দোকানের ছাউনির সাথে তার গোডাউনের দেয়াল তৈরি করে।
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন স্বপন এখন রবিউল ইসলাম ফিরোজের সামনের দোকানটিকে জোড়পূর্বক দখল করার জন্য অর্থের অহমিকায় অন্ধ হয়ে ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ২৫/৪/২০২৩ ইং আনুমানিক সকাল ১১টার সময় ১০/১২জন সন্ত্রাসীকে দেশিয় অস্ত্র সহ ভাড়া করে নিয়ে গিয়ে রবিউল ইসলাম ফিরোজের দোকানের ওপরে হামলা চালায়।
দোকানটির সামনের সাটার সহ ৩০ বস্তা সিমেন্ট ও আনুষাঙ্গিক মালামাল সহ প্রায় ১লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং রবিউল ইসলাম ফিরোজ কে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে।
রবিউল ইসলাম ফিরোজ ঘটনায় ভীত হয়ে ৯৯৯ নাম্বারে কল করে পুলিশের সহযোগীতা চায়। বিষয়টি কাহালু থানা পুলিশকে জানালে কাহালু থানার এএসআই রমজান আলী ২জন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ বিষয়ে মোঃ রবিউল ইসলাম ফিরোজ কাহালু থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
মোঃ সাজ্জাদ হোসেন স্বপন এর সাথে দোকান ঘর ভাংচুর ও মালামাল নেওয়ার বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি টাকা পাবো জায়গা দেওয়ার কথা দিচ্ছেনা ওরাই ভাংচুর করে আমার দোষ দিচ্ছে।
ও ব্যপারে কাহালু থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন দোকান ঘর ভাংচুরের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।