নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের দীঘলদী কান্দায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১১

অপরাধ

সুচিত্রা রায় :
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার(৬সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায়
ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের,দিঘলদী কান্দায় তাঁরা মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসান মিয়া বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।হাসান মিয়া বলেন।রাছেল,মোঃজিহাদ,মো: জুয়েল,বর্ষা আক্তার,সফিউল বাদশা, মোঃমোস্তফা,
মোঃরুবেল,ফারুক,এরা আমাদের প্রতিবেশী।এদের সাথে দীর্ঘ দিন যাবত বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসতেছিলো।পূর্ব বিরোধের যের ধরে বিকাল ৪ টার সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র, রামদা,লোহার রড,জিলাই পাইপ ইত্যাদি নিয়ে আমাদের বাড়ীর উঠানে এসে,অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে।তৎসময় আমার চাচী রোজিনা আক্তার,তাদের গালমন্দ করতে বারন করলে।বর্ষা আক্তার,চুলের মুঠি ধরে এলোপাথাড়ি কিলঘুশি মারতে থাকে।চাচীর গলায় থাকা আট আনা ওজনের স্বর্নের চেইন অনুমান মূল্য পঞ্চাশ হাজার টাকার চেইনটা নিয়ে যায়। আমার চাচিকে রক্ষা করার জন্য আমার আপন চাচা মোঃ খলিল এগিয়ে আসলে।মোঃরাসেলের হাতে থাকা ধারালো দা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মেরে মাথার খুলির ডান পাসে লেগে গুরুতর কাঁটা রক্তাক্ত যখম হয়।আমার আপন চাচা খলিল কে রক্ষা করতে গেলে।মোঃজুয়েলের হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা সজরে বারি মারলে চাচা হাত দিয়ে প্রতিহত করলে বাম হাতের কনায়ের উপরে ফাঁটা জখম হয়। চাচাদেরকে রক্ষা করতে আমি সহ ফুপাতো ভাই মোঃনাদিম ও ফুফা নাছির এগিয়ে আসলে আমাদের কেউ লোহার রড ও লাঠি দ্বারা সজোরে আঘাত করতে থাকে। এবং আমাদের টিনের ঘরের আসবাবপত্র সহ একটি টিভি ভাঙচুর করে।আমাদের ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে। প্রকাশ্যে খুন করে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। তাদেরকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমার ছোট চাচা খলিল ও ফুফাতো ভাই মো: নাদিম এর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এবং বাকিরা আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।এবং তিনি আরো বলেন এটার সঠিক বিচার চাই।

বিবাদী আহত যুবক মোঃরুবেল একজন সিএনজি চালক,সে বলে আমরা বাজার থেকে ফেররার সময় খলিল সহ প্রায়৭/৮ জন বেপরোয়া ভাবে গাড়ি থামিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদেরকে ব্যাপক মারধর করে ।আমার ফুফু প্রবাসে থাকে সেখান থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠায়।সেই টাকা আমরা উঠায় নিয়ে আমরা বাড়িতে ফিরছিলাম।মারধর করে গাড়ীতে থাকা ২ লাখ টাকা নিয়ে যায়,এবং গাড়ি ভাঙচুর করে।

বিবাদী জিহাদ বলেন রাস্তায় আটকিয়ে মারধর করার পরে সেখান থেকে কোনমতে আমরা বাড়িতে আসি। এসে বাড়ির সবাইকে জানাই ঘটনা শুনে সবাই বলে এটা চেয়ারম্যান মেম্বারকে জানাবে হবে।বলতে বলতেই গাড়ী ভরে। খলিল,হাসান,নাদীম,নাইম,সাহেলা সহ ৭/৮ জন আমাদের বাড়িতে এসে হামলা করে।

বিবাদী পক্ষের মোঃজহিরুল ইসলাম বলেন।আসলে কি ঘটনা আমি কিছুই জানিনা।আমি ওযু করে আসরের নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম।সেখান থেকে ফিরে দেখি ওরা আমার ভাই ভাতিজারে মরছে।আমি এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে নবির হসেন সজোরে আমার মাথায় পাইপ দিয়ে আঘাত করে।আমার মাথা ফেটে যায়।
তিনি আরো বলেন,খলিল ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের (৯ নং) ওয়ার্ডের মুজিব সেনা ঐক্য লীগের
সাধারন সম্পাদক। রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে আমাদের উপর জুলুম করে।

প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা নিবেন কিনা জানতে চাইলে বলেন।আমাদের সবাই অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমরা সুস্থ হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করব।

এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)মোঃ ইমরান খাঁন বলেন।এক পক্ষের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.