এম শাহীন আলম, কুমিল্লা
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ সব ধর্মের এবং সব মানুষের দেশ। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক ও শান্তির দেশ। এ দেশে ধর্মান্ধ এবং জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই।
৩১ জানুয়ারী শুক্রবার কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার আলীশ্বরের শান্তিনিকেতন বৌদ্ধ বিহার ও সর্বস্তরের বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচে বড় অনুষ্ঠান ভিক্ষু পরিবাসব্রত (ওয়াইক) ও ব্যুহ চক্র মেলা শেষ হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে পাহাড়তলী মহানন্দ সংঘ রাজ বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত ধমপ্রিয় মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির ভাষনে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় মহামান্য সংঘরাজ ভদন্ত রতনজ্যোতি মহাথের, চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার অধ্যক্ষ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির, ভদন্ত প্রিয়ানন্দ, ফরা বুদ্ধশ্রী মহাস্থবির, ভদন্ত জিনপ্রিয় স্থবিরসহ কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভির সালেহীন ইমন, লাকসাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনুস ভূইঞা, লালমাই উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মালেক, ও ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজুমদারসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ২০ জানুয়ারী বিশ্বশান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে ৩১ জানুয়ারী মানবতার মুক্তি কামনায় প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। এই উপলক্ষে আলীশ্বরসহ আশপাশ এলাকায় নানা সাজে সাজানো হয়। শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জড়ো হয় পুণ্যার্থীরা। বেলা ১০টার দিকে পঞ্চশীল প্রার্থনায় শুরু হয় মহাস্থবির বরণ অনুষ্ঠান। এরপর পরই শুরু হয় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ধর্ম দেশনা।
প্রধান অতিথির ভাষণে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি প্রতিবছর আমার নিজ এলাকায় আলীশ্বর শান্তি নিকেতনে এসে খুবই আনন্দিত হই। বৌদ্ধ ধর্মের মূল মন্ত্র হচ্ছে অহিসংসা পরম ধর্ম, হানাহানি কাটাকাটি নেই, জীব হত্যা নেই, জগতের সব প্রাণী সুখী হউক। আর বাংলাদেশ হচ্ছে অসম্প্রাদিক দেশ, শান্তির দেশ। প্রতিটি ধর্ম-বর্ণের মানুষ এক হয়ে যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছে। সবার রক্ত, লাখো শহীদের রক্ত একাকার হয়ে মিশে গেছে। মুসলিম-হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ সব ধর্মেও মানুষ মিলে যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল সকল ধর্মের মানুষ তার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে। সবাই মিলেমিশে এ দেশে বাস করবে। বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ ও দারিদ্র্যমুক্ত। এ লক্ষ্য নিয়েই বর্তমান সরকার কাজ করে চলেছে। বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। জঙ্গিবাদের স্থান বাংলাদেশের মাটিতে হবে না।