কুমিল্লায় একই শিক্ষক যখন দুই কলেজের অধ্যক্ষ

অপরাধ

দুইটি কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ার কোন সুযোগ নেই- কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান,শিক্ষার্থীরা ভালো সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে -অভিভাবক

কুমিল্লা প্রতিনিধি :
একই ব্যক্তি দুটি কলেজের অধ্যক্ষ। একটিতে অধ্যক্ষ, অন্যটিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। বেতন ও সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন দুটি প্রতিষ্ঠান থেকেই। এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন কুমিল্লা ক্যামব্রিয়ান কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান। ৮ বছর ধরে ময়নামতি কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ হিসেবে চাকরি করছেন। সম্প্রতি তিনি ওই কলেজ থেকে সরে আসছেন বলে আমিনুর রহমানের ভাষ্য।

জানা যায়, তিনি প্রথমত একটি কলেজের ক্লার্ক হিসেবে চাকরী করতেন। পরবর্তীকালে ওই কলেজের প্রভাষক হলেও প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ আরেক কলেজে কর্মরত বিষয়টি জানলে ওই শিক্ষককে বহিষ্কার করে। পরবর্তীতে তিনি ক্যামব্রিয়ান কলেজে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পায়। প্রভাষক থাকাকালীন ওই কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কমিটির নিকট কুৎসা রটিয়ে তিনি এ কলেজের অধ্যক্ষ হন। গত এপ্রিল ও মে মাসে ময়নামতি কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বেতন তুলেছেন তিনি। তিনি সেখানে কর্মরত অবস্থায় কুমিল্লা ক্যামব্রিয়ান কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত আছেন। এ কলেজ থেকেও তিনি বেতন ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ একই সঙ্গে তিনি দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ। আরও গুরুতর অভিযোগ, দরিদ্র পল্লী ও সহজ সরল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভর্তি ফি ফ্রি করে দিবে বলে অন্যান্য স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেনির শিক্ষার্থীদের কোন কাগজপত্র ছাড়াই কারিগরি শাখায় ভূয়া কাগজপত্র কম্পিউটার দোকান থেকে বানিয়ে ভর্তি করান।

শাহ আলম নামে এক শিক্ষক বলেন, আমার দুটি শিক্ষার্থী ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেনীতে পড়ত তাদের অভিভাবককে প্রলোভন দেখিয়ে ৯ম শেণীতে ভর্তি করায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক জানান, দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই জনাব আমিনুর রহমানের দ্বারা প্রতারিত হচ্ছে, ভাল সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমি একজন সচেতন অভিভাবক ও নাগরিক হিসাবে প্রশাসনের সুদৃষ্টি ও যথাযথ ব্যবস্থা কামনা করছি।

অভিযোগের বিষয়ে আমিনুর রহমান বলেন, আমি ময়নামতি কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজে এখন আর নেই। ওটার অধ্যক্ষ এখন আমার স্ত্রী। ২০১০ সালে কারিগরি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আইন হয়, সে আলোকে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর থেকে ৯ম শ্রেনীতে ভর্তি হতে পারত। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছে তা অসত্য।

এ বিষয়ে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. নিজামুল করিম বলেন, দুইটি কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা দেখো যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.