বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, হতে পারে দেশেও

অর্থ ও বাণিজ্য

নিউজ ডেস্ক।।

বিশ্ববাজারে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাজারে প্রথমবারের মতো এক আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৫৫০ ডলার ছাড়িয়েছে। সেই হিসেবে দেশের বাজারেও যেকোনো সময় দামি এই ধাতুটির দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ২ হাজার ৪৮৬ দশমিক ৯৬ ডলার। সেখান থেকে বেড়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৫৭৮ দশমিক ৪৮ ডলারে থিতু হয় সপ্তাহ শেষে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৯১ দশমিক ৫২ ডলার বা ৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এর মধ্যে সপ্তাহে শেষ কার্যদিবসেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ২০ দশমিক শূন্য ৩ ডলার বা দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এর আগে এক আউন্স স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫২৯ দশমিক ৯০ ডলারে উঠেছিল। চলতি বছরের ২০ আগস্ট স্বর্ণের এই দাম হয়। বিশ্ববাজারে এই দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে দেশের বাজারেও সে সময় স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ২৭ হাজার ৯৪২ টাকা। এটিই দেশের বাজারে এখনো পর্যন্ত স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকে। সংগঠনটির সবশেষ দেওয়া দাম অনুযায়ী, সর্বশেষ সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৬২১ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৩২১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার ৫৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩২৯ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৩ হাজার ৩৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৭ টাকা কমিয়ে ৮৫ হাজার ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর এই দাম নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে এই দামেই দেশের বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।

সংগঠনটির পক্ষে স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি। এই কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় ১০০ ডলার বেড়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে স্বর্ণের আউন্স ২ হাজার ৬০০ ডলার হয়ে যেতে পারে। বিশ্ববাজারে যে হারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে, তাতে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো লাগবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, আমার স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের ওপর ভিত্তি করে। স্থানীয় বাজারে পাকা স্বর্ণের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আবার পাকা স্বর্ণের দাম কমলে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববাজারের দামের চিত্র পাকা স্বর্ণের দামে প্রভাব ফেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.