গণহত্যায় উসকানিদাতা কবি ও সাংবাদিকরাও বিচারের আওতায় আসবেন: নাহিদ ইসলাম  

জাতীয়
  • নিউজ ডেস্ক।।

কবি, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব—যারা ফ্যাসিবাদে জড়িত ছিলেন কিংবা গণহত্যায় উসকানি দিয়েছেন তাদের ‘অবশ্যই’ বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ও জুড়ি বোর্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, মামলাগুলো সরকার করছে না, জনগণের জায়গা থেকে করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত শত্রুতার জায়গা থেকেও করা হচ্ছে। সেই জায়গা থেকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি এবং আশ্বস্ত করেছি যে এই মামলাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পর্যালোচনা করা হবে। তদন্ত করা হবে। অভিযোগ না থাকলে মামলা থেকে রেহাই দেয়া হবে।

‘গতকালও প্রেস ক্লাব ও সচিবালয় সাংবাদিক ফোরামের সঙ্গে বসেছি। আমি বলেছি, যদি কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ থাকে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয় থাকে, তথ্য মন্ত্রণালয়ের তার বিষয়ে বিস্তারিত পাঠাবেন। আমরা দেখব,’ যোগ করেন তিনি।

নাহিদ বলেন, ‘পাশাপাশি এটাও বলেছি, কেবল সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিক ও কবি পরিচয়ে কেউ রেহাই পাবেন না। যারা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, বৈধতা উৎপাদনে কাজ করেছেন লেখনি ও মতামতের মাধ্যমে জনমত তৈরি করেছেন, গণহত্যার পক্ষে কাজ করেছেন, উসকানি দিয়েছেন, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।’

সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়, জননিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত হয়, আমরা যেহেতু একটি জরুরি পরিস্থিতিতে আছি, দেশ পুনর্গঠন করা লাগছে, সেহতেু সেনাবাহিনীকে এই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আগামী দুই মাসের জন্য এই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

‘এই সময়ের মধ্যে পুলিশ বাহিনীকে সম্পূর্ণ রিফর্ম (সংস্কার) করে আরও শক্তিশালী ও আস্থার জায়গায় নিয়ে এসে তাদের মাঠে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। এ কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে,’ যোগ করেন নাহিদ ইসলাম।

সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ অবস্থায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের গুজব সেল নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে বিভিন্ন অংশীজন ও মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলছি। কীভাবে ফ্যাক্টচেকিং বিষয়টি আরও শক্তিশালী করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছি।

একটি ফ্যাক্টচেকিং সেল করার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘সামাজিকমাধ্যমে যাতে এই ধরনের গুজবের সত্যতা যাচাই করে মানুষের কাছে সত্য তুলে ধরা যায়, মানুষ যাতে গুজব ও মিথ্যায় প্রভাবিত না হয়, সে জন্য আমরা ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে ভাবছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.