কুমিল্লায় মোবাইল চোরাকারবারী ও ছাত্রলীগনেতা কর্তৃক সাংবাদিক নেতাকে মিথ্যা মামলা সহ হত্যার হুমকি

অপরাধ

সুমন মোবাইল দোকানে সামান্য বেতনে চাকুরী করে জায়গা কিনে বাড়ী করার আয়ের উৎস কি?

জোষ্ঠ্য প্রতিবেদক :
গত ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর তারিখে অনুসন্ধানী প্রতিবেদক প্রতিবাদী সাংবাদিক এম শাহীন আলম কুমিল্লা সদর উপজেলা ও সদর দক্ষিন উপজেলার ভারতীয় সিমান্ত এলাকার মাদককারবারিদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন,সেই ফেসবুক স্ট্যাটাস এর কমেন্ট বক্সে তারিকুল ইসলাম সুমন মাদক কারবারিদের পক্ষ নিয়ে বিরূপ আপত্তিকর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলে ফেসবুক কমেন্টকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলা গলিয়ারা (উত্তর) ইউপি ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল ইসলাম সুমন (২৭) এর বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতাকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে একেই বছর স্ট্যাটাস দেন সাংবাদিক এম শাহীন আলম।ঠিক তারই সূত্র ধরে সাংবাদিক এম শাহীন আলম কে ছাত্রলীগের কয়েকজন ছেলে মোবাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ আক্রমনাত্তক হুমকি দমকি দিয়ে ক্ষ্যান্ত হননি মোবাইল চোরকারবারি তারিকুল ইসলাম সুমন। সে প্রতিবাদী সাংবাদিক এম শাহীন আলমকে নতুজানু করতে না পেরে তার অপকর্ম ঢাকতে একেই বছর তারিকুল ইসলাম সুমন প্রতিবাদী সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর বিরুদ্ধে তাকে ভুয়া সাংবাদিক আখ্যা দিয়ে অসন্মানজনক ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন। যা সর্ব মহলে তৎকালীন আলোচিত হয়েছিলো। এর পর মোবাইল চোরাকারবারি তারিকুল ইসলাম সুমন তার কিছু সাঙ্গপাঙ্গ কে সাক্ষী বানিয়ে ২০২২ সালের ২৬ শে আগস্ট তারিখে একটি মিথ্যা নাটক সাজিয়ে সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকার মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা কুমিল্লার আদালতে দায়ের করেন। যা পরবর্তী পুলিশ তদন্ত রিপোর্ট আর তার মনগড়া সাক্ষীদের সাক্ষীতে চাঁদাবাজির নাটকের ঘটনাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
মোবাইল ইসমাগ্লার তারিকুল ইসলাম সুমন পুলিশ তদন্তের রিপোর্ট এবং তার মতাদর্শী সাক্ষীদের সাক্ষ্যতে কোন কিছুর উপায় না পেয়ে কুমিল্লার আদালতে “না রাজি” দিয়ে গত ২২/১০/২০২৪ তারিখে পুনরায় ৩৮৫/৫০০/৫০৬(২) ধারা দিয়ে পুনরায় মামলার জন্য আবেদন করলে মামলার বিবাদী সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর আত্মপক্ষ সমর্থন কিংবা কোন প্রকার বক্তব্য না নিয়ে গোপনে মনগড়া মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে “সমন জারি” করে গত ০৪/১২/২০২৪ তারিখে মামলার হাজিরার দিন ধার্য্য করে কুমিল্লার আদালত। এরেই মধ্যে গত ২২ শে অক্টোবর-২০২৪ ইং তারিখে তারিকুল ইসলাম তার নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন তাকে নাকি আদালত মাদক সংশ্লিষ্টতা থেকে নির্দোষ প্রমাণিত ঘোষণা দিয়েছেন এমন ডাহা মিথ্যা ফেসবুক পোস্টটি কিছু সময় পর সে তার আইডি থেকে ডিলেট করে দেন।

এর আগে মোবাইল চোরাকারবারি তারিকুল ইসলাম সুমন তার মিথ্যা মামলার পরামর্শ দেন এবং সাংবাদিক এম শাহীন আলমকে তারিকুল ইসলাম এর আত্মীয় পরিচয়ে ফোন দেন কুমিল্লা সদর এর আসনের সাবেক এমপি বাহার এর পচন্দের দালাল সাংবাদিক এবং সিটির মেয়র সুচনার খাস চামচা এস এ টিভির সাবেক প্রতিনিধি মস্তবড় সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন। তারিকুল ইসলাম সুমন সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর সাথে শিকার করেন সে জেদ করে অন্যের প্ররোচণায় তিনি মামলাটি দায়ের করেন। সুমন বলেন, তার গার্ডিয়ান সে যার দোকানে চাকুরী করেন সেই ওয়ান টেলিকম নামের মোবাইল দোকানের মালিক জহিরুল ইসলাম এর সাথে কথা বলতে যিনি এই মামলার ২ নং সাক্ষী। সুমন জানান, জহির ভাইয়ের সাথে কথা বললে জহির ভাই আমাকে বললে আমি মামলা উঠিয়ে নিবো।এই কথোপকথনের কল রেকর্ড সংরক্ষিত আছে।এই জহিরুল ইসলাম এর সাথে সাংবাদিক এম শাহীন আলম তার মোবাইলে কল দিয়ে কথা বলার পরও সুমন মামলাটি না উঠিয়ে পুনরায় “না রাজি” দিয়ে মামলাটির ওয়ারেন্ট করানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মোবাইল চোরাকারবারি তারিকুল ইসলাম সুমন গত দুই আড়াই বছর এই মামলার বিষয়ে কোন প্রকার দৌঁড়ঝাপ কিংবা টু শব্দও আওয়াজ করেননি। কিন্তু সাংবাদিক এম শাহীন আলম যখন স্হানীয় এলাকার বৌয়ারা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সোলাইমান লস্কর এর অনিয়মের বিরুদ্ধে একের পর এক নিউজ শুরু করেন। সোলাইমান লস্কর তার ছোট ভাই জহিরকে দিয়ে হুমকি দমকি সহ পাশের গ্রাম হরিপুরের আবুল খায়ের মৈশানকে দিয়ে বিকাশে টাকার অফার করেও ব্যর্থ হন তখন তারা এই মোবাইল চোরাকারবারি তারিকুল ইসলাম সুমনকে বৌয়ারা ফাজিল মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে দুর্ভিসন্ধি করে প্রতিবাদী সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর বিরুদ্ধে যে কোন মূল্যে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলার ওয়ারেন্ট বের করার যুক্তি পরামর্শ করা হয়। প্রয়োজনে সামনে এই মিথ্যা মামলার ওয়ারেন্ট করাতে যত খরচ লাগবে সব খরচ অধ্যক্ষের এই মর্মে তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়। এর পর থেকে এই মোবাইল চোরাকারবারি তারিকুল ইসলাম সুমন এই মিথ্যা মামলা নিয়ে নতুন নাটক শুরু করে তার মনগড়া সাক্ষীদের সাক্ষ্যতে ৫ লাখ টাকার চাঁদাবাজির বিষয়টি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালতে “না রাজি” দিয়ে পুনরায় মামলাটির জন্য আবেদন করে যে কোন মুল্যে ওয়ারেন্ট জারি করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে।

এর আগে মামলার শুরু থেকে মোবাইল চোরাকারবারি তারিকুল ইসলাম সুমন সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর সাথে বসে সমঝোতা করার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে একাধিক প্রস্তাব দিলেও চোরাকারবারির সাথে এক টেবিলে সাংবাদিক এম শাহীন আলম বসতে রাজি নয় বলে জানান।
মিথ্যা মামলার বিষয়ে গত ০৩/১২/২০২৪ রাতে সাংবাদিক এম শাহীন আলম মোবাইল চোরাকারবারি (ইসমাগ্লার) তারিকুল ইসলাম সুমন কে তার মোবাইলে কল দিয়ে কথা বলতে চাইলে সে অকথ্য আচরণ সহ সে সাংবাদিক এম শাহীন আলম কে ভুয়া সাংবাদিক আখ্যা দিয়ে মারধর সহ প্রাণোনাশের হুমকি দমকি দিতে থাকেন এবং সাংবাদিক শাহীন কে উঠিয়ে নিয়ে যাবেন বলে একাধিকবার তার লোকজনদের দিয়ে সন্ত্রাসী স্ট্যাইলে হুমকি দমকি দিতে থাকেন এবং ৪ ডিসেম্বর মামলাটির ওয়ারেন্ট হবে বলে গ্যারান্টি দিয়ে বলতে থাকেন। আরো জানা যায়, মোবাইল চোরাকারবারি তারিকুল ইসলাম সুমন এর হুমকি দমকির কল রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তারিকুল ইসলাম সুমন গত ৫/১২/২০২৪ ইং তারিখে সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পারোয়ানা(ওয়ারেন্ট) জারি হয়েছে বলে সাংবাদিক এম শাহীন আলমকে ভুয়া সাংবাদিক আখ্যা দিয়ে পুনরায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে তার নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। কিন্তু কুমিল্লার আদালতের নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা যায়, মোবাইল চোরাকারবারি তারিকুল ইসলাম সুমন যে মিথ্যা মামলাটি করেছেন সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর বিরুদ্ধে। সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে বলে তারিকুল ইসলাম সুমন তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়েছেন যা ডাহা মিথ্যা এবং বানোয়াট বলে এরে মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়,মিথ্যা মামলাটির ওয়ারেন্ট নয় বরং আগামী ২১ শে জানুয়ারী ২০২৫ তারিখ হাজিরার দিন ধার্য্য করেছে কুমিল্লার আদালত।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, তারিকুল ইসলাম সুমন লোক চক্ষুর আড়ালে এক সময়ে গোপনে মাদক ব্যবসার সাথে তার সংশ্লিষ্ট থাকলেও সে গত বেশ কয়েক বছর ধরে কুমিল্লা শহরে একটি মোবাইল দোকানে মাসিক বেতনে চাকুরীর পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারকে ভ্যাট টেক্স ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় সিমান্ত এলাকার চোরাই পথে মোবাইল এর অবৈধ (ইসমাগ্লিন) ব্যবসার সাথে জড়িত। যা স্হানীয় সিমান্ত এলাকার বেশিরভাগ মানুষের মুখ থেকে জানা যায়। তারিকুল ইসলাম সুমন এর ভারত থেকে চোরাই পথে আনা মোবাইল ব্যবসার বিষয়টি বর্তমানে স্হানীয় এলাকার মানুষের কাছে ওপেন সিক্রেট বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে নাম প্রকাশে ইচ্ছুক বর্ডার এলাকার স্হানীয় লোকজন জানান, তারিকুল ইসলাম সুমন অবৈধ মোবাইলের ব্যবসা করেই এলাকায় জায়গা কিনে বাড়ি করেছে। স্হানীয়দের প্রশ্ন একটা মোবাইল দোকানে চাকুরি করলে একজন মানুষ কয় টাকা বেতন পায় কিভাবে সে দামী মোটরসাইকেল চালায় হাতে দামী আই ফোন ব্যবহার সহ সংসারের ব্যয়ভার বহন করে তার আয়ের উৎস কি?। স্হানীয়দের মতে তারিকুল ইসলাম সুমন তো পাশের গ্রাম নোয়াপাড়ার জহির এর মোবাইল দোকানে মাসিক বেতনে চাকুরী করে তাহলে সে রাতারাতি এতো কিছু করে আর সে তো ছাত্রলীগের রাজনীতির পাশাপাশি ভারত থেকে চোরাই পথে আসা মোবাইল এর ব্যবসা করে সে কিভাবে একজন সাংবাদিক এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে সে এতো সাহস পায় কিভাবে। তার আসল মুখোশ উন্মোচন করা জরুরি। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা তারিকুল ইসলাম সুমন গত ৫ ই আগস্টের আগে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এর ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুল আল আমিন সাদি’র ও নিয়াজ মোহাম্মদ পাভেল এর নের্তৃত্বে কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড়,পুলিশ লাইন এবং কোর্টবাড়ী বিশ্বরোড এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র জনতার উপর হামলাকারীদের সাথে হামলায় ছাত্রলীগ নেতা তারিকুল ইসলাম সুমন তার মাথায় হেলমেড ব্যবহার করে মুখে মাক্স ও কাপড় পড়ে অংশগ্রহন করেছেন বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়। এই ছাত্রলীগ নেতা মোবাইল দোকানে চাকুরির ছলে নিজেকে এখনো ধরাছোয়ার বাহিরে রেখেছেন বলে সুত্র মতে জানা যায়।

এই বিষয়ে সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদককারবারি আর চোরাকারবারিদের অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে লেখালেখির কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানী মামলা দিয়েছে। তিনি বলেন,মরে যাবো কিন্তু কোন চোরাকারবারির কাছে আমি মাথা নত করবো না। কারণ কলমের চেয়ে তাদের শক্তি বেশি না। সাংবাদিক এম শাহীন আলম বলেন, হামলা মিথ্যা মামলা আর ভয়কে জয় করেই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করি এতে আমি বিন্দু মাত্র বিচলিত নই। আল্লাহ্ কপালে যা রেখেছেন তাই হবে বলে জানান। তার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকর্মীদের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তী সংখ্যায় নিউজ চলমান থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.