ছোট্র চাকুরীর সুবাদে অবৈধ উপার্জনে সোহরাব এখন বাড়ি গাড়ি হাসপাতাল সহ বহু সম্পদের মালিক

অপরাধ

যথাযথ ব্যবস্হা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশন সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ।

এম শাহীন আলম :
ঢাকা আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকার আব্দুল হালিমের ছেলে সোহরাব পেশায় ছিলেন রাজউক এর একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী তাও আবার বেশিরভাগ সময়ে চাকুরী করেছেন মাস্টার রোলে। বর্তমানে তিনি অবসরে আছেন তিন বছর ধরে। এই ছোট্র চাকুরীর সুবাদে ঢাকা আশুলিয়া সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবৈধ ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে গড়েছেন একাধিক বাড়ি,গাড়ী,বাবার নামে প্রাইভেট হাসপাতাল সহ গাজীপুরে বাড়ি,ঢাকার পূর্বাঞ্চলে একাধিক প্লট,রংপুরে স্ত্রীর নামে বহুতল বিলাস বহুল ভবন যা আলাদিনের চেরাগ পাওয়ার মতো অবস্হায় বলা যায়।

সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, সোহরাব তিনি চাকুরী করেছেন রাজউক কে চতুর্থ শ্রেণীর ক্যাটাগরির একটি পদে।এই সামান্য চাকুরীর সুবাদে তিনি তার নিজের নামে,সন্তানদের নামে,বউদের নামে,সালাদের নামে বেনামে গড়েছেন বহু সম্পদ যার বেশিরভাগই সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে উপার্জনের মাধ্যমে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও দুর্নীতিবাজ এই সোহরাব গাজীপুর জেলার ভবানীপুরে কিনেছেন একাধিক জমি। শ্রীপুর প্রাইমারি স্কুলের পাশে আছে তার বিশ ডিসিম জায়গা,ঢাকার পূর্বাঞ্চলে কিনেছেন একাধিক প্লট। রংপুরে তার ছোট বউকে ৭০ লাখ টাকা দিয়ে বাড়ি কিনে দিয়েছেন বলে জানা যায়। উত্তরার দিয়াবাড়ি রয়েছে তার একাধিক ফ্ল্যাট। তার বড় বউ বাড়ি সুগন্ধিতে গড়েছেন বাড়ি। নিজের নামে ছাড়াও সোহরাব তার দুই সালা মজনু আর ভুলুনের নামে গড়েছেন জমি সহ বাড়ি। সোহরাব ঢাকা আশুলিয়ার শ্রীপুরে তার বাবার নামে গড়েছেন হালিম জেনারেল হাসপাতাল নামের প্রতিষ্ঠান। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, সোহরাব গত ৫ আগস্টের পর থেকে নিজেকে এবং তার অবৈধ সম্পদ সেইভ করতে তিনি স্হানীয় এলাকার বিএনপির নেতাকর্মীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। দুর্নীতিবাজ সোহরাব এর দিব্যি এতো অবৈধ সম্পদ মালিক হলেও তিনি এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে যা স্হানীয় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তার এই অবৈধ সম্পদের হিসাব চেয়ে যথাযথ ব্যবস্হা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশন সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দুর্নীতিবাজ সোহরাব এর বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে আরো নতুন তথ্য নিয়ে পরবর্তী সংখ্যায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.