নোয়াখালীতে বাবার রাজনৈতিক রাজত্বে দুই মেয়ের বিলাস বহুল বাড়ি দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা

অপরাধ

বিশেষ প্রতিবেদক :
বাবা নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সূবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে রাজনৈতিক ক্ষমতার বলয়ে গত ১৫ বছর আওয়ামী শাসনামলে বাবা সেলিম চেয়ারম্যান তিনি নিজে এবং তিনি তার পোষা গুন্ডা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে স্হানীয় নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজী,জোরপূর্বক মানুষের ভুমি জবর দখল, জেলা উপজেলায় ট্রেন্ডারবাজী,চাকুরীতে তদবির বাণিজ্য,থানার পুলিশ দিয়ে মানুষকে হয়রানি করে গ্রেফতার বাণিজ্য,সরকারী জায়গা দখল করে অগণিত দোকান ঘর,মার্কেট,দোকান ঘর নির্মাণ,হিন্দুদের জোর পূর্বক উচ্ছেদ সহ নামমাত্র দাম দিয়ে তাদের বসত ভিটা জমি দখল করে তাদের উচ্ছেদের ঘটনা অহরহ। এছাড়াও এই সেলিম চেয়ারম্যান সূবর্ণচরের চর জব্বর, তার নামে নাম করণ করে সেলিম বাজার,জোবায়ের বাজার, ভূঞার হাট, কাজীর দোকান, গ্লোব বাজার,আমান উল্লাহ খামার,তার গ্রামের বাড়ি আনছার মিঞার হাটে সরকারি (একোয়ার) বন্ধবস্তের এর জমি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের নামে,স্ত্রী,ছেলে মেয়ে সহ কাছের আত্মীয় স্বজনদের নামে ভুয়া মিথ্যা দলিল। অহরহ অভিযোগ রয়েছে গত ১৫ বছর আওয়ামী শাসনামলে নোয়াখালীর যে লোক গুলা এই সেলিম চেয়ারম্যানের মতের বাহিরে গিয়ে প্রতিবাদ করেছে তাদের তিনি মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশি হয়রানি সহ তার পোষা গুন্ডা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মারধর করে এলাকা ছাড়া করার বহু অভিযোগের কথা সরজমিনে স্হানীয় লোকজন জানান। গত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগ শাসনামলে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে অসংখ্য ঘটনা আছে সরকারি জায়গা লীজ নিয়ে নিজের পোষা সন্ত্রাসী বাহিনীদের লেলিয়ে অস্রের মুখে মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সুবর্ণচরের বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের বিলে ওয়ার্ডে,হাট-বাজারে জোরপূর্বক শত শত একর জমি দখল সহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা লুটের সমরাজ্য গড়ে তুলেছিলেন এই এ এইচ এম খায়রুল আলম সেলিম। আর এই সুযোগে তার ছোট মেয়ে সালমা সাদিয়া স্কুল শিক্ষিকা আর বড় মেয়ে মরিয়ম সাদিয়া স্থানীয় ভুমি অফিসের নায়েব তাদের বাবা এ এইচ এম খায়রুল আলম সেলিম এর রাজনৈতিক ক্ষমতা বলয়ে অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে নোয়াখালীর পৌর বাজার এলাকায় বিলাস বহুল বাড়ি নির্মাণ সহ তার দুই মেয়ের বিরুদ্ধে বহু অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও সেলিম চেয়ারম্যান তিনি তার ছেলের কাছে বিদেশে কোটি কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করেছেন বলে বিশ্বস্থ সুত্রে জানা যায়। এরে মধ্যে সেলিম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গুরুতর বেশ কয়েকটি অভিযোগ এনে মামলা করেছেন স্হানীয় কৃষকদল নেতা রাশেদ ইকবাল।

সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সেলিম চেয়ারম্যানের গত ১৫ বছবের রাজনৈতিক ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে তার ছোট মেয়ে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা সালমা সাদিয়া কোন কিছুব তোয়াক্কা না করে তদবির বাণিজ্য, দখল বাণিজ্যের মাধ্যমে নোয়াখালীর পৌর বাজার এলাকায় বিলাস বহুল বাড়ির মালিক সহ বহু সম্পদের মালিক বনে গেছেন। অন্যদিকে তার ছোট মেয়ে মরিয়ম সাদিয়াও ভুমি অফিসের নায়েব তিনিও বহুতল ভবনের মালিক। বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীর স্থানীয় কয়েকটি ব্যাংকে দলিল রাখার নামে লকারে বিপুল পরিমাণ সোনার গহনা, পে অর্ডার সহ একাউন্টে রয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকাও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ।

এই সালমা সাদিয়ার বাবা নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়ার সুবাদে তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কাউকে তোয়াক্কা না করে বিরতিহীন ভাবে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে বেতন নিয়েছেন বছরের পর বছর এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও স্থানীয় অভিভাবকদের ভয়ভীতি দেখিছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ফ্যাসিষ্ট বাবা ও-আওয়ামীলীগের অবৈধ ক্ষমতাকে পুঁজি করে নামে ও বেনামে সুবর্ণচরের প্রতিটি বাজারে সরকারি জমি ও দোকান ভিটা দখল করেছেন। কানাডায় হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল টাকা পাচার করেছেন পরিবারের অন্য সদস্যদের যোগসাজশে ভবিষ্যতে দেশ ত্যাগ করতে হবে এই ভয়ে এমন তথ্যও পাওয়া যায়। এছাড়াও ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্লট ও ফ্ল্যাট কিনেছেন একাধিক যা অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। গত ১৫ বছর নোয়াখালীতে থানা পুলিশের সাথে যোগসাজশ করে মানুষকে হয়রানি জিম্মি সহ গ্রেপ্তার বাণিজ্যে তদবিরও ছিলো তার অবৈধ ইনকামের আরেকটি রাস্তা। এছাড়াও সালমা সাদিয়ার বড় এক বোন বর্তমানে তিনি ভূমি অফিসের নায়েব হিসেবে কর্মরত আছেন, তিনিও বর্তমানে অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে নোয়াখালী শহরে বহুতল ভবনের মালিক বনে গেছেন। বিলাস বহুল বাড়ি নির্মাণে আয়ের উৎস জানতে চেয়ে সালমা সাদিয়াকে তার মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি বলেন, আমার এই বাড়িটি আমার পৈতিক সুত্রে পাওয়া। পরক্ষণে সালমা সাদিয়াকে কেন ফোন দেওয়া হলো এমনটা জানতে নোয়াখালীর কয়েকজন দালাল সাংবাদিক ফোন দিয়ে সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রার সম্পাদক এর নিকট নিউজ না করতে তদবির করেন। এছাড়াও সালমা সাদিয়ার বাবা সেলিম চেয়ারম্যান এর বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে আরো বিস্তারিত পরের সংখ্যায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হবে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে সু-দৃষ্টি দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদন করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.