আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক :
দুর্নীতি ও প্রতারণার অভিযোগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম জানায়, ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির জেলা আদালতে দায়ের হওয়া এই মামলায় নাম থাকা আরেক অভিযুক্ত হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আতাওয়ালে। আগামী ২ মার্চ এই মামলার শুনানি শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমে আরও জানা যায় যে, গতকাল সোমবার ৩ ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের এক আইনজীবী এইচ কে সিংয়ের দায়ের করা মামলাটি গৃহীত হয় রাঁচির জেলা আদালতে। এই মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্ষমতায় আসার আগে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ প্রত্যেক নাগরিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ করে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, ক্ষমতা আসার পর তার পূরণ করেননি। এছাড়াও মামলাকারী ওই আইনজীবীর অভিযোগ, ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে দাঁড়িয়ে দাবি করেন লোকসভা নির্বাচনের ইস্তেহারে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তাই সরকারে আসার পরেই এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হল।
অপরদিকে আমার প্রশ্ন হল ২০১৯ সালে দেওয়া সিএএ’র প্রতিশ্রুতি পূরণ হলেও প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কেন পূরণ হল না? নাকি বিজেপির ইস্তেহারে থাকা সব প্রতিশ্রুতিকে তারা সম্মান দেয় না? জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী এভাবে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করা যায় না। যদি এই ধরনের ঘটনা কেউ ঘটায় তাহলে তা মানুষকে ঠকানোর সামিল। তবে ওই আইনজীবী এইচ কে সিং দাবি করলেও ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রকাশিত বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে ১৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার কোনও উল্লেখ্য নেই। এই কথা জানিয়ে বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতৃত্ব।