
হালিম সৈকত :
কুমিল্লার তিতাসে এক যুবককে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ ও পুলিশ।
নিহত নজরুল ইসলাম ভূইয়া মজিদপুর ইউনিয়নের শাহবৃদ্ধি গ্রামের হানিফ ভূইয়ার ছেলে।
নজরুলের হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত এবং পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন একই ইউনিয়নের মজিদপুর
গ্রামের মজু মিয়ার ছেলে হোসেন মিয়া (৩৫)
ও তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তার।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ৬ আগস্ট রাত ১০টায় নজরুল ইসলাম ভূইয়া ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেন নি। ফলে নজরুলের বাবা হানিফ ভূইয়া তিতাস থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নজরুলের কললিস্ট চেক করে নিখোঁজের রহস্য উদঘাটন করে তিতাস থানা পুলিশ। পাশাপাশি হোসেন নামের একজন অটোরিকশা চালক ও তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তারকে আটক করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকৃতরা নজরুলকে কুপিয়ে হত্যা করে বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে দিয়েছে বলে স্বীকার করে।
তাদের কথামতো পুলিশ ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আগতো ডুবুরি দল অভিযান পরিচালনা করে খন্ডিত দু’টি হাত
উদ্ধার করে।
দেহের আরো ৩টি খন্ডিত অংশ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল।
গত ৫ দিন আগে (৬ আগস্ট) থেকে নিখোঁজ ছিলো
পরকিয়ায় আসক্ত তিতাসের মজিদপুর ইউনিয়নের শাহবৃদ্ধি গ্রামের হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া (৪০)।
মোবাইলের কললিস্টের সূত্র ধরে একই ইউনিয়নের মজিদপুর পশ্চিম পাড়া দীঘিরপাড় এলাকার মোহাম্মদ হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তারকে সনাক্ত করার পর তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর পুলিশের নিকট তারা হত্যার দায় স্বীকার করে লোমহর্ষক বর্নণা দেয়।
পুলিশের ভাষ্যমতে, “স্মৃতি আক্তার ও মোহাম্মদ হোসেন নজরুলকে কুাড়াল দিয়ে কুপিয়ে দেহটি চার টুকরো করে চারটি বস্তায় ভরে নদীর পানিতে ফেলে দেয়। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নদীতে উদ্ধার অভিযানে গিয়ে একটি বস্তা উদ্ধার করা হয় এবং বস্তায় খন্ডিত দু’টি হাত পাওয়া যায়।
এবিষয়ে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহিদ উল্যাহ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তার স্বীকার করে বলেন, তারা নজরুলকে কুপিয়ে হত্যা করে চার টুকরো করে চারটি বস্তায় করে নদীতে ফেলে দেয়। দেহের বাকি ৩টি অংশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ঢাকা থেকে আগতো ডুবুরি দল কাজ করছে।