মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়া গাবতলীতে মোবাইলে লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে মোস্তফা মানিক (২২) নামের এক যুবককে ধারালো বার্মিজ চাকু দিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৬ মে বুধবার রাতেই মানিক হত্যার একমাত্র আসামী নাহিদ ওরফে কালু (২০) কে পুলিশ ৩ ঘন্টার মধ্যে বগুড়ার মাটিডালি থেকে গ্রেফতার এবং ওই রাতেই হত্যার কাজে ব্যবহারকৃত বার্মিজ চাকু উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় মানিকের পিতা আবেদ আলী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত নাহিদ ওরফে কালু থানা পুলিশ এবং ৭ মে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করলে সেখানেও ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে আদালত খুনি নাহিদকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। উল্লেখ্য, গত ৬মে বিকেল অনুমান সাড়ে ৪টায় গাবতলী মডেল থানার নিকটবর্তী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পিছনে রেল লাইন সংলগ্ন রিপনের চা দোকানে (য্বুরাজ) সামনে দিয়ে যাচ্ছিল পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা চা বিক্রেতা আবেদ আলীর ছোট ছেলে মানিক মিয়া। এ সময় একই গ্রামের অপর চা বিক্রেতা রিপনের ছেলে নাহিদ হাসান ওরফে (কালু) তার পথরোধ করে। পরে তাদের মধ্যে মোবাইলে লুডু খেলার বাজির টাকা নিয়ে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে নাহিদ ধারারো বার্মিজ চাকু দিয়ে মানিকের পেটের নাড়িভুড়ি বের করাসহ পিঠে ও ডান পায়ে উপর্যুপুরী ছুড়িকাঘাতে তাকে খুন করে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে দ্রুত মানিককে উদ্ধার করে একটি সিএনজি যোগে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপালের কর্তব্যরত ডাক্তার মানিকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনার পরপরই সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) সাবিনা ইয়াছমিন, থানা ওসি নুরুজ্জামান, ওসি তদন্ত আনোয়ার হোসেনসহ সকল অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হত্যাকারীর পিতা রিপন মিয়া ও বড়ভাই মনিংকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা নিয়ে আসে। থানা পুলিশ তাদের তথ্য অনুযায়ী আসামী নাহিদকে বগুড়ার মাটিডালি থেকে রাত সাড়ে ৮টায় গ্রেফতার সক্ষম হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টায় নাহিদের কথা মতো যুবরাজ চা এর দোকান সংলগ্ন রেল লাইনের পাশে ঝাউ-জঙ্গলের মধ্যে থেকে বার্মিজ চাকুটি উদ্ধার করে পুলিশ। নাহিদ পুলিশের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিলে ৭ মে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করলে সে আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। পরে আদালত খুনি নাহিদকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় মানিকের পিতা আবেদ আলী রাতেই বাদী হয়ে নাহিদ মিয়াকে একমাত্র আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমীনের সঙ্গে কথা বললে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।