আশুলিয়া প্রতিনিধি :
আশুলিয়ার আউক পাড়া মৌজায় ৪৫ শতাংশ জমি নিয়ে মাসুদ হাওলাদার ও মর্তুজা গং এর বিরুদ্ধে বিবাদ চরম আকার ধারণ করেছে। জানাযায় আদালতে মামলা চলমান থাকার পরেও বার বার জমিনটি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে মর্তুজা গং রা।
জানাযায়, নবাব সলিমুল্লাহ্-র নবাবী এস্টেটভুক্ত সম্পতি এটি নবাবের ওয়ারিশ কাছ থেকে আব্দুল হালিম নামে জনৈক ব্যাক্তি ঐ ৪৫শতাং জমি ক্রয় করে পরে তিনি আবার জমিটি মাসুদ হাওলাদারের কাছে বিক্রী করে। দীর্ঘদিন সম্পতিটি ভোগ দখল করে আসছিলো।
ঐ জমিটি নিয়ে বিবাদী মর্তুজা গংদের নামে আদালতে দু”টি মামলা চলমান রয়েছে তার পরেও মর্তুজা গং-রা আদালত কে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে বার বার আদালত অবমাননা করে যাচ্ছে ।
ঐ জমিতে মাসুদ হাওলাদারের নামে পল্লী বিদ্যুৎ এর ৪টি মিটার রয়েছে, তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি সেমিপাকা দালান, অটো রিকশার গ্যারেজ ও একটি গরু ছাগলের খামার ও তিন দিকে ইটের দেয়াল ঘেরা রয়েছে।
আর উক্ত জমিটি রক্ষণাবেক্ষণ ও সেখানে বসবাস করছে মাসুদ হাওলাদার(৫০) তার মেয়ে হ্যাপি(২০) ও তার স্বামি মজনু(২৫) এবং সর্বক্ষনিকভাবে নিয়োজিত দারোয়ান আব্দুল হালিম (৭৫) ।
এ ব্যাপারে মাসুদ হাওলাদার জানান, দীর্ঘ এক বছরের অধিক সময় আমি এই জমিটি ক্রয় করেছি, এতদিন যাবৎ আমি এই জমিটি ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি কিন্তু গত দু”মাস আগে হঠাৎ করে দিনে দুপুরে মর্তুজা বোরহান উদ্দিন, বিসা ও বাসেকসহ প্রায় ১০/১৫ জন আমার ঐ জমিতে অর্তকিতভাবে প্রবেশ করে আমার মেয়ে হ্যাপি ও তার স্বামী মজনু ও ৭৫ বছরের বৃদ্ধ দারোয়ান আব্দুল হালিম কে মারধর করে আমার অটোর গ্যারেজের দুটি রিকসা, ১৫টি অটোরিকশার চার্জার, ৯টি ছাগল নিয়ে যায়, ভাগ্যক্রমে আমি সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিলাম না । ঐ সময় আমার মেয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে সাহায্যে চাইলে দ্রুত আশুলিয়া থানার এস আই আযহার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মর্তুজা ও বাসেক কে গ্রেফতার করে এ সময় অন্যেন্য রা পালিয়ে যায়। বিষয়টি সে সময় বেশ কয়েকটি ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। পরে তাদের নামে লুটপাটের মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করে। একদিন পর তারা জামিনে বেরিয়ে আসে। এসেই তারা আমাকে ও আমার মেয়ে এবং মেয়ে জামাই কে জানে মারার হুমকি দিচ্ছে এবং আমাদের কে উচ্ছেদ করে জায়গাটি দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৬ জুলাই আবারো মর্তুজা গংরা দিনে দুপুরে জমিতে প্রবেশ করে জমি মেপে দখলের চেষ্টা চালায় এ সময় ঘটনাস্থলে বেশ ক”জন সাংবাদিক উপস্থিত হলে মর্তুজা গং-রা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা চলমান থাকার পরে বিবাদীদের আক্রামের ভয়ে পুঃরায় আশুলিয়া থানায় জীবনের নিরাপত্তার চেয়ে সাধারণ ডাইরী করে আমার মেয়ে হ্যাপি।
বর্তমানে আমরা জান বাচাঁনোর জন্য পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
এ সময় তিনি কাঁদতে কাদঁতে বলেন, সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে ঐ জমিনটুকু কিনেছি কিন্ত ঐ মর্তুজা গংদের অত্যাচারে আজ আমার জীবন বাচাঁনো দায়। আমি গরিব মানুষ আমার টাকা পয়সা নাই তাই কি আমি বিচার পাব না।
তিনি প্রসাসনের নিকট দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবী জানান।