শিবগঞ্জ বগুড়া প্রতিনিধি :
বগুড়ার শিবগঞ্জের রায়নগর ইউনিয়নের মহাস্থানের অদূরে সুদামপুর গ্রামে বিয়ের ছয় মাসের মাথায় যুবকের গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাজায় রায়নগর ইউনিয়নের সুদামপুর উত্তরপাড়া গ্রামের কলা ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তার পুত্র মহাস্থান বাজারে ফল ব্যবসায়ী মিনহাজ অরফে রাহেল ২৫ । সে গত ছয় মাস পূর্বে পরিবারের সম্মতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে একই ইউনিয়নের মহাস্থান মধ্যপাড়া গ্রামে ফল ব্যবসায়ী ছাইফুলের মেয়ে আখেরীকে বিয়ে করে। বিয়ের ছয় মাস অতিবাহিত হলেও সাম্প্রতিক তাদের সংসারে চুন থেকে পান খসলেই বিবাদকাণ্ড লেগেই থাকত। এ নিয়ে রাহেলের স্ত্রী আখেরী শ্বশুরবাড়ি লোকজনদের সাথে বনিবনা না হওয়ায় গত ১৫ দিন যাবৎ সে মহাস্থান তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করে। রাহেল সে মহাস্থান বাজারে ফলের দোকান করে রাতে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। গত বৃহস্পতিবার ২০ আগষ্ট রাহেল শ্বশুরবাড়ি থেকে সে বাড়িতে চলে যায়। রাত ১১টায় রাতের খাবার খেয়ে সে নিজ শয়নকক্ষে ঘুমাতে যায়। এরপর সে গ্যাসট্যাবলেট সেবন করে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। রাত ১২টায় পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করলে সকাল ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত রাহেলের কল লিষ্টে রাতে স্ত্রীর সাথে কথা বলা ১৬ মিনিট কলটাইম পাওয়া যায়। এই ১৬ মিনিটে সে স্ত্রীর সাথে রাতে কি কথা বলেছে কেনোই বা গ্যাসট্যাবলেট সেবন করে নিজেকে শেষ করলেন এমন প্রশ্ন এলাকাবাসীর। এদিকে নিহতের পরিবারের সাথে কথা বললে তারা জানান, স্ত্রী বাপের বাড়ি থেকে না আসার কারণে ছেলে আত্মহত্যা করেছে। এদিকে রাহেলের শ্বশুরবাড়ি মহাস্থান মধ্যপাড়া গ্রামে গিয়ে তার স্ত্রী আখেরীর সাথে কথা বলে জানা যায়, যৌতুকের টাকা নিয়ে তার স্বামী ও শ্বশুরের সাথে দ্বন্দ্ব চলছিল। তিনি আরও জানান, সকালে স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে গেলে তারা আমাকে সেখানে উঠতে দেয়নি। সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। রায়নগর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি জানান, গ্যাস ট্যাবলেট সেবনে মৃত্যু হয়েছে খবর পেয়েছি। তবে কি কারনে সে আত্মহত্যা করেছে তা সঠিক জানতে পারিনি। এবিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম বদিউজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, পারিবারিক কলহের জেরে সে রাতে গ্যাসট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করলে সকালে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর কারন খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। নিহত রাহেলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।