বগুড়ায় দুর্নীতির সংবাদ খুঁজতে গিয়ে শ্রমিকলীগ নেতার হামলায় ২ সাংবাদিক আহত

অপরাধ

বগুড়া প্রতিনিধি :‌
 বগুড়ায় সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার মাজেদুর রহমান এবং চিত্র সাংবাদিক রবিউল ইসলাম হামলার শিকার হয়েছেন। শ্রমিক লীগ নেতা জনি ও স্থানীয় মেম্বার লুৎফরের নেতৃত্বে তাদের দুজনকেই বেধড়ক পিটিয়ে অজ্ঞান করা হয়। ভাঙচুর করা হয় ক্যামেরা। পরে ক্যামেরা, মোবাইল, নগদ টাকা ও অন্যান্য সরঞ্জামও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। আহত সাংবাদিকরা মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। বুধবার পৌনে ১২টার দিকে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে দুর্নীতি হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রিপোর্ট করতে বগুড়া সদর উপজেলার নিশিন্দারা ইউনিয়নের দশটিকা এলাকায় যান সময় সংবাদের রিপোর্টার মাজেদুর রহমান ও চিত্র সাংবাদিক রবিউল ইসলাম। এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান লাল মিয়া ও ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি জনি ও তার সহযোগীরা লাঠিসোটা দিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। বেধড়ক পিটুনিতে জ্ঞান হারান মাজেদুর রহমান এবং রবিউল ইসলাম। এতেই ক্ষান্ত হয়নি হামলাকারীরা। ক্যামেরা ভাঙচুর করে। তাতেও আক্রোশ না মেটায় লুট করে নেয় ক্যামেরা, মোবাইল ফোন, অন্যান্য সরঞ্জাম ও নগদ টাকা।

খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা তাদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রায় ২ ঘণ্টা পর মাজেদুর রহমানের এবং ৩ ঘণ্টা পর রবিউল ইসলামের জ্ঞান ফিরে আসে।

রিপোর্টার মাজেদুর রহমান বলেন, মুজিববর্ষে গরিবদের যে ঘর দেয়া হচ্ছে তাতে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। ওই কাজের ছবি তুলতে গেলে এক দল সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা করে।

ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, তাদের ক্যামেরা এবং মোবাইল যদি খোয়া গিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা হবে। এখানে আইনের বাইরে তো কেউ না।

বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, এসে দেখি এখানে দুজন সাংবাদিক আহত অবস্থায় পড়ে আছেন।

এদিকে সময় সংবাদের রিপোর্টার ও চিত্র সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। দ্রুত জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.