কুমিল্লায় চাকরির প্রলোভনে তরুনী ধর্ষন! র‌্যাবের হাতে ধর্ষক আটক

অপরাধ

কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা ব্রাক্ষনপাড়া উপজেলার দক্ষিন তেতাভ‚মি (মোল্লাবাড়ি) গ্রামের মৃতঃ আঃ কাদের এর ছেলে কাউছার আহমেদ (৪১) গত ১৮জুন ২০২১ হতে ০৮আগস্ট ২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে একজন নারীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরবতীর্তে ধর্ষনের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়। উক্ত বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক(ভিকটিম) ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে র‌্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা এর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিক্তিত্তে র‌্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করেন। প্রাথমিক ভাবে জানতে পারে ভিকটিম একটি মোবাইল কোম্পানীতে চকুরীরত অবস্থায় কুমিল্লা সেনা মার্কেট এলাকায় ধর্ষক কাউছারের সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাধে ধর্ষক নিজেকে সেনাবহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর পরিচয় দেয়। তাছাড়া ধর্ষক নিজেকে “পিলিপ্স কোম্পানীর” কান্ট্রি ম্যানেজার বলে পরিচয় দেয় এবং ভিকটিমকে উক্ত কোম্পানীতে অধিক বেতনে পিএস হিসেবে নিয়োগ দেয়। “পিলিপ্স কোম্পানীর” কোন অফিস কুমিল্লাতে না থাকায় ধর্ষক ভিকটিমকে নিয়ে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে কোম্পানীর অফিস এর জন্য জায়গা খোঁজ করতে থাকে এবং তখন থেকেই কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে ভিকটিমকে ধর্ষন করে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল ২৪সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে গভীর রাতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল ধানাধীন নিশ্চিন্তপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ধর্ষক কাউছার আহমেদ (৪১) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামী’কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত নারীকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষনের ছবি ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার হুমকি প্রাদান করার বিষয়টি স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ধর্ষনের মতো সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে মেজর সাকিব হোসেন সাংবাদিকদের জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.